মুহাম্মদ এমরান
বান্দরবান:- লামা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুফিজ উদ্দীন এর নেতৃত্বে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রভাতফেরি শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইয়াংছা কুমারী ইউনিট শাখার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উক্ত শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
আলোচনা সভায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহানারা আরজু’র সভাপতিত্বে সিনিয়র শিক্ষক আহমদ হোসাইন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ইয়াংছা কুমারী ইউনিট শাখার সভাপতি, মমতাজ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, আবু ওমর। বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা লীগ, ইয়াংছা কুমারী ইউনিট শাখার সভানেত্রী আনাই মার্মা (সুমি)। বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগ, ইয়াংছা কুমারী ইউনিট শাখার সাধারণ সম্পাদক সানাউল হক।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন,বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা,ম্যানেজিং কমিটির সদস্য,স্থানীয় সাংবাদিক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরাসহ প্রমুখ।
উপস্থিত অতিথিগন শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য রাখেন।
বিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা,শেখ রাসেল দেয়ালিকা, মহান ভাষা দিবসের ওপর আলোচনা, পুরস্কার বিতরণ এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত মাহফিল।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি হলো আমাদের জাতিসত্তা ও ভাষাভিত্তিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষাসহ সকল সংগ্রাম ও আন্দোলনের উৎস ও প্রেরণা। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক বাঙালির অমর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করা হলে আমাদের সেই চেতনাই বিশ্বে প্রসারিত হয়। জাতিসংঘের ঘোষণায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, এ দিবস ‘১৯৫২ সালের একুশে ফ্রেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য বাংলাদেশের মানুষের অভূতপূর্ব আত্মত্যাগের স্বীকৃতি’।
একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার বিষয়ে প্রাথমিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন কানাডাপ্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম এবং কানাডার বহুভাষিক ও বহুজাতিক সংগঠন ‘মাতৃভাষা প্রেমিক গোষ্ঠী’। কিন্তু বাস্তবে এ সাফল্য এসেছে তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ ও সময়-উপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে। তাঁরই ত্বরিত প্রচেষ্টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত সময়ে ইউনেস্কো-য় এ প্রস্তাব প্রেরিত হলে তা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।