উন্নত জাতি গঠনে সাংবাদিকদের অনেক দায়িত্ব আছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সদ্য যোগদানকৃত চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেছেন, সাংবাদিকেরা সমাজের দর্পণ। দায়িত্বশীলদের সকল কর্মকান্ড সাংবাদিকদের মাধ্যমে জনসম্মুখে প্রকাশিত হয়। তাই উন্নত জাতি গঠনে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম। উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচারের মাধ্যমে ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়া উচিৎ। আবার ভুলভ্রান্তি হলে সমালোচনা থাকবে তবে তা যেন হয় গঠনমূলক। কোন অবস্থাতেই যেন রাগ বা ক্ষোভের বশে কোন সংবাদ প্রকাশিত না হয় সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে। ব্যক্তিগত কোন আক্রোশকে পেশায় সম্পৃক্ত করা উচিৎ নয়। সাংবাদিকের সাথে আমাদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
দীর্ঘ আড়াই হাজার বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দর বিরতিহীন সেবা দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও সেবায় গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখছে বন্দর। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে সেবার পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নেও আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবে চট্টগ্রাম বন্দর।
গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টম বিটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ সদ্য যোগদানকৃত চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর সময় তিনি এসব কথা বলেন।
সৌজন্য সাক্ষাতকালে বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের মধ্যে দৈনিক ভোরের ডাক’র চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান কিরন শর্মা, সকালের সময়’র ব্যুরো প্রধান এস.এম.পিন্টু, আজকের বিজনেস বাংলাদেশ ও ডেইলি বাংলাদেশ আপডেট এর ব্যুরো প্রধান মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশের আলোর ব্যুরো প্রধান ভূপেন দাশ, ডেইলি বাংলাদেশ পোস্ট এর ব্যুরো প্রধান রাহুল সরকার পলাশ ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল মতিন চৌধুরী রিপন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্বাহী শাখায় ১ জানুয়ারি, ১৯৮৮ সালে কমিশন লাভ করেন। দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি নৌবাহিনীর জাহাজ, ঘাঁটি ও সদর দপ্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে অংশগ্রহণ করে নৌবাহিনীর এনইউপি পদক লাভ করেন। সততার সঙ্গে অসামান্য সেবা ও অবদান রাখায় রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পদক ও নৌ প্রদানের প্রশংসা পদক অর্জন করেন মোহাম্মদ সোহায়েল। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড ও স্টাফ কলেজের ফ্যাকালটি (ডাইরেক্টিং স্টাফ ও সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর) হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল এলিট ফোর্স র্যাবের সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। র্যাবের সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালনকালে জাতীয় গণমাধ্যমে বেশ প্রাণবন্ত ছিলেন এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ব্যাপক অবদান রাখেন। তার অসামান্য অবদানের জন্য তাকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) ভূষিত করা হয়। এছাড়া মোহাম্মদ সোহায়েল ডিজিএফআই সদর দপ্তরে কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ব্যুরোতে (আইএবি) কর্নেল জিএস হিসেবেও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।##