ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদপুরে অবৈধ স্থাপনা বন্ধ করলেন প্রশাসন বরিশালে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আরিফ ফিলিং ষ্টেশন দখল করে ব্যবসা ঘুষ ও নানা অনিয়মের অভিযোগে বাকেরগঞ্জ থানার বিতর্কিত ওসি সফিকুলের বদলি দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট একদিনে ৩ অভিযান কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত পুলিশ সুপারের নির্দেশ: সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন বরিশালে আ.লীগ কর্মীর স্ত্রী স্কুল সভাপতি! সংবর্ধনা দিল প্রধান শিক্ষক !! চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় গর্বের বাকেরগঞ্জের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান ফু-ওয়াং ফুডসের সাবেক এমডি আরিফ আহমেদ চৌধুরীসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৩ বরিশালে প্রশাসন ম্যানেজ করে আবাসিক হোটেলে জমজমাট দেহ ব্যবসা মুক্ত গণমাধ্যম মঞ্চের নির্বাহী কমিটির সভাপতি শিমুল পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক, আব্দুর রহিম, মুখপাত্র আবদুল্লাহ মজুমদার

কুমিল্লার বুড়িচং এ কাউসারের মাদকের রমরমা ব্যবসা

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ১২:০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • ৩৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ কুমিল্লার বুড়িচং এ কোনোভাবেই থামছে না মাদকের জমজমাট ব্যবসা। সর্বত্রই বিক্রি হচ্ছে মরণ নেশা ইয়াবা থেকে শুরু করে গাঁজা-ফেনসিডিল। হাত বাড়ালেই এসব নেশা জাতীয় দ্রব্য পাচ্ছে তরুণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বেকার যুবকরা। বুড়িচং থানার জরুইন গ্রামের মৃত ওদুদের সন্তান কাউসার গ্রামের সর্বত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে মাদকের বিস্তৃতি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাঠপর্যায়ের সদস্যসহ বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, বুড়িচং এলাকার আশপাশের এলাকা গুলোয় ছদ্মবেশে ফেরি করে মাদক বিক্রি করছে একটি চক্র। এরা কেউ কেউ প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায়, ধর্মীয় লেবাসসহ নানা পরিচয়ে ফেরি করে বেড়াচ্ছে। নামাজি সেজে মাথায় টুপি, পাঞ্জাবি পরে ও সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে বিক্রি করছে ইয়াবা। গ্রামগঞ্জের কিশোর, যুবকরা ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মরণ নেশা হাতের নাগালে পেয়ে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। থানা পুলিশের ভয়ে অতি গোপনীয়তায় আকস্মিক মৃত্যু দেখিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।এ ছাড়াও মাদক বহনে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে ব্যবসায়ীরা। অ্যাম্বুলেন্সে এমনকি লাশের কফিনও ব্যবহার করছে তারা। এ ছাড়া সবজির ট্রাক, মাছের ঝুড়ি, চিঠির খাম, জুতার তলায়, স্কুল ব্যাগে করেও মাদক পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মাদকের স্পটে। সবচেয়ে নিরাপদ হচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিস। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে স্বল্প সময়ের মধ্যেই মোবাইলের মাধ্যমে অর্থনৈতিক লেনদেন করে থাকে ফলে তাদের কাছে কুরিয়ার সার্ভিসই হচ্ছে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম।

মাদকের এই বিস্তৃতির কারণে তরুণরা অল্পতে জড়িয়ে পড়ছে চুরি, ডাকাতি, খুন ছিনতাইসহ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা যৌন হয়রানির মতো অসামাজিক কর্মকাণ্ডে। পুলিশ সূত্রে সিংহভাগই খুন, ছিনতাই ঘটছে মাদক সেবনের কারণে।

র‌্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইয়াবা আসার পরে ফেনসিডিলের কদর কমে যায় মাদক সেবিদের কাছে। এখন বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নগরীতে বিক্রি হলেও তা ধরা মুশকিল হয়ে পড়ে। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতো খুচরা ইয়াবা বিক্রেতাদের মাঝেমধ্যে গ্রেফতার করা হলেও নতুন করে যারা জড়িয়ে পড়েছেন তারা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পুলিশের মাঠপর্যায়ের একাধিক সদস্য জানান, মাদক কারবারিদের আটক করতে তাদের অনেক সময় এসব ক্রয় করতে হয় এবং সোর্সদের ওপর নির্ভর করতে হয়। এতে আর্থিকসহ অনেক ধরনের ঝুঁকি থাকে। একটি এলাকাতে গিয়ে এসব মাদক কারবারিদের আটক করতে অনেক সময় প্রভাবশালীরা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এতে অভিযানে গাফিলতি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব পুলিশ সদস্যরা জানান মাদক নির্মূলে মাঠপর্যায়ে যারা কাজ করছেন তাদের নানা সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন। বুড়িচং থানার ওসি জানান, পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে অবৈধ স্থাপনা বন্ধ করলেন প্রশাসন

কুমিল্লার বুড়িচং এ কাউসারের মাদকের রমরমা ব্যবসা

আপডেট সময় : ১২:০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ কুমিল্লার বুড়িচং এ কোনোভাবেই থামছে না মাদকের জমজমাট ব্যবসা। সর্বত্রই বিক্রি হচ্ছে মরণ নেশা ইয়াবা থেকে শুরু করে গাঁজা-ফেনসিডিল। হাত বাড়ালেই এসব নেশা জাতীয় দ্রব্য পাচ্ছে তরুণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বেকার যুবকরা। বুড়িচং থানার জরুইন গ্রামের মৃত ওদুদের সন্তান কাউসার গ্রামের সর্বত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে মাদকের বিস্তৃতি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাঠপর্যায়ের সদস্যসহ বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, বুড়িচং এলাকার আশপাশের এলাকা গুলোয় ছদ্মবেশে ফেরি করে মাদক বিক্রি করছে একটি চক্র। এরা কেউ কেউ প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায়, ধর্মীয় লেবাসসহ নানা পরিচয়ে ফেরি করে বেড়াচ্ছে। নামাজি সেজে মাথায় টুপি, পাঞ্জাবি পরে ও সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে বিক্রি করছে ইয়াবা। গ্রামগঞ্জের কিশোর, যুবকরা ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মরণ নেশা হাতের নাগালে পেয়ে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। থানা পুলিশের ভয়ে অতি গোপনীয়তায় আকস্মিক মৃত্যু দেখিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।এ ছাড়াও মাদক বহনে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে ব্যবসায়ীরা। অ্যাম্বুলেন্সে এমনকি লাশের কফিনও ব্যবহার করছে তারা। এ ছাড়া সবজির ট্রাক, মাছের ঝুড়ি, চিঠির খাম, জুতার তলায়, স্কুল ব্যাগে করেও মাদক পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মাদকের স্পটে। সবচেয়ে নিরাপদ হচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিস। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে স্বল্প সময়ের মধ্যেই মোবাইলের মাধ্যমে অর্থনৈতিক লেনদেন করে থাকে ফলে তাদের কাছে কুরিয়ার সার্ভিসই হচ্ছে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম।

মাদকের এই বিস্তৃতির কারণে তরুণরা অল্পতে জড়িয়ে পড়ছে চুরি, ডাকাতি, খুন ছিনতাইসহ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা যৌন হয়রানির মতো অসামাজিক কর্মকাণ্ডে। পুলিশ সূত্রে সিংহভাগই খুন, ছিনতাই ঘটছে মাদক সেবনের কারণে।

র‌্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইয়াবা আসার পরে ফেনসিডিলের কদর কমে যায় মাদক সেবিদের কাছে। এখন বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নগরীতে বিক্রি হলেও তা ধরা মুশকিল হয়ে পড়ে। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতো খুচরা ইয়াবা বিক্রেতাদের মাঝেমধ্যে গ্রেফতার করা হলেও নতুন করে যারা জড়িয়ে পড়েছেন তারা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পুলিশের মাঠপর্যায়ের একাধিক সদস্য জানান, মাদক কারবারিদের আটক করতে তাদের অনেক সময় এসব ক্রয় করতে হয় এবং সোর্সদের ওপর নির্ভর করতে হয়। এতে আর্থিকসহ অনেক ধরনের ঝুঁকি থাকে। একটি এলাকাতে গিয়ে এসব মাদক কারবারিদের আটক করতে অনেক সময় প্রভাবশালীরা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এতে অভিযানে গাফিলতি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব পুলিশ সদস্যরা জানান মাদক নির্মূলে মাঠপর্যায়ে যারা কাজ করছেন তাদের নানা সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন। বুড়িচং থানার ওসি জানান, পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে রয়েছে।