ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লোহাগাড়ার পদুয়ায় এক পরিবারের টিনের বাউন্ডারি ভাংচুরের অভিযোগ ! লোহাগাড়ায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগ সোহরাব হোসেন বুলবুল গ্রেপ্তার বাকেরগঞ্জে ১০ টি চোরাই অটোরিকশা উদ্ধার চোরচক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার প্রায় দুই শতাধিক চোরাই রিক্সার আলামত উদ্ধার বদলগাছীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু  জীনামেজু টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট” এর শিক্ষকদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান   মধুপুরে ঈদের সামনে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে জরিমানা পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাকেরগঞ্জ বাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য নাঈম মৃধা সাভার থেকে গর্ভবতী নারীকে অপহরণের অভিযোগ, নেপথ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী আসলাম পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন  বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন খান অপু! 
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায়

চকরিয়ার সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত

  • আপডেট সময় : ১০:৩০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
  • ৩১২৭ বার পড়া হয়েছে

কপিল উদ্দিন জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম শেখ ও সমাজসেবা অধিদফতরের যুগ্ম সচিব (পরিচালক প্রশাসন ও অর্থ) সৈয়দ মো. নুরুল বাছির স্বাক্ষরিত আলাদা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। তাছাড়া দেশের সব গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করার পর আমজাদ হোসেন ও মমতাজ বেগমের ঘুষ লেনদেন নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার হারবাং মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার শিশুদের জন্য ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বরাদ্দ দেওয়া হয় এক লাখ ৯২ হাজার টাকা। এ টাকা পেতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ চান। তিন দফা বৈঠক করার পর মমতাজ বেগমকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। ভিক্ষুকদের সেলাই মেশিন বিতরণের অফিস খরচের জন্য পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

এ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রতিবন্ধী ভাতা বই পেতে উপকারভোগীর কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করতেন আমজাদ হোসেন ও মমতাজ বেগম।

দুই কর্মকর্তার সাময়িক বরখাস্তের খবর জানতে চাইলে ভুক্তভোগী এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এতিমদের টাকার ওপর যারা ভাগ বসায়, তারা কি ভালো মানুষ। সমাজসেবা কার্যালয়ের সব গরিব লোকজনই যায়, কিন্তু তাদের চুষে খাচ্ছে এ রকম কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। সংশ্লিষ্ট দফতর দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় আমি খুশি।’

বরখাস্তের বিষয়ে জানতে চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগমের মোবাইল নম্বরে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে কক্সবাজার জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক হাসান মাসুদকে কল করা হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লোহাগাড়ার পদুয়ায় এক পরিবারের টিনের বাউন্ডারি ভাংচুরের অভিযোগ !

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায়

চকরিয়ার সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত

আপডেট সময় : ১০:৩০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

কপিল উদ্দিন জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম শেখ ও সমাজসেবা অধিদফতরের যুগ্ম সচিব (পরিচালক প্রশাসন ও অর্থ) সৈয়দ মো. নুরুল বাছির স্বাক্ষরিত আলাদা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। তাছাড়া দেশের সব গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করার পর আমজাদ হোসেন ও মমতাজ বেগমের ঘুষ লেনদেন নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার হারবাং মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার শিশুদের জন্য ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বরাদ্দ দেওয়া হয় এক লাখ ৯২ হাজার টাকা। এ টাকা পেতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ চান। তিন দফা বৈঠক করার পর মমতাজ বেগমকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। ভিক্ষুকদের সেলাই মেশিন বিতরণের অফিস খরচের জন্য পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

এ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রতিবন্ধী ভাতা বই পেতে উপকারভোগীর কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করতেন আমজাদ হোসেন ও মমতাজ বেগম।

দুই কর্মকর্তার সাময়িক বরখাস্তের খবর জানতে চাইলে ভুক্তভোগী এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এতিমদের টাকার ওপর যারা ভাগ বসায়, তারা কি ভালো মানুষ। সমাজসেবা কার্যালয়ের সব গরিব লোকজনই যায়, কিন্তু তাদের চুষে খাচ্ছে এ রকম কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। সংশ্লিষ্ট দফতর দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় আমি খুশি।’

বরখাস্তের বিষয়ে জানতে চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগমের মোবাইল নম্বরে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে কক্সবাজার জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক হাসান মাসুদকে কল করা হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।