নিজস্ব প্রতিবেদকঃ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র্যাব-৪ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত রাখছে প্রতিনিয়ত।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২৩ ইং রাতে ঢাকা মহানগরীর আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস আমিনুল হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনপূর্বক হত্যাকারী মূল আসামী মোঃ বাদশা মিয়া মনির (২৮) ও মোঃ এনামুল হোসেন (২২)কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।
গত ৯ জানুয়ারি ২৩ ইং সন্ধ্যায় নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানাধীন মাঝগাঁও গ্রামস্থ একটি বিলের পাশে গম ক্ষেতের মধ্যে স্থানীয় জনগণ একটি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহ সনাক্ত করে। পরবর্তীতে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবহিত করলে স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। স্থানীয় থানা পুলিশ মৃতদেহটি সনাক্ত করলে বড়াইগ্রাম থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী বাদশা মিয়া মনির পেশায় মাছ ব্যবসায়ী এবং এনামুল হোসেন আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করলেও পরিচয়ের আড়ালে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির মত ঘটনা ঘটায়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই এর মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীরা আরো জানায়, তারা সিরাজগঞ্জ এলাকা থেকে ভিকটিম আমিরুলকে অপহরণ করে ভিকটিমের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। ভিকটিম মুক্তিপণ দিতে অপারগ হলে আসামীরা উপর্যুপরি আঘাত করলে ভিকটিম মৃত্যুবরণ করে। পরবর্তীতে আসামিরা ভিকটিমের মৃতদেহ নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম এলাকায় নিয়ে বিলের মাঝে একটি গম ক্ষেতের মধ্যে ফেলে আত্মগোপনে চলে যায়।
এছাড়াও র্যাব-৪ এর অপর একটি পৃথক অভিযানে মহাসড়কে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতির সময় আরমান বাহিনীর নেতা মোঃ আরমান হোসেন (২২), জেলা-ঢাকা, শাহ জামাল (২৭), জেলা-লালমনিরহাট এবং মোঃ মাসুম (২১), জেলা-ঢাকা’দের গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা আরমানের নেতৃত্বে রাতের আধারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পথযাত্রীদের জিম্মি করে ডাকাতি ও ছিনতাই মতো ঘটনা ঘটায় যার প্রেক্ষিতে স্থানীয় জনতা একাধিকবার মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় মহাসড়কে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতির সময় অভিযান পরিচালনা করে আরমান বাহিনীর নেতা আরমানসহ তিনজন ছিনতাইকারিকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে এবং এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাবের জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।