ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদপুরে অবৈধ স্থাপনা বন্ধ করলেন প্রশাসন বরিশালে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আরিফ ফিলিং ষ্টেশন দখল করে ব্যবসা ঘুষ ও নানা অনিয়মের অভিযোগে বাকেরগঞ্জ থানার বিতর্কিত ওসি সফিকুলের বদলি দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট একদিনে ৩ অভিযান কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত পুলিশ সুপারের নির্দেশ: সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন বরিশালে আ.লীগ কর্মীর স্ত্রী স্কুল সভাপতি! সংবর্ধনা দিল প্রধান শিক্ষক !! চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় গর্বের বাকেরগঞ্জের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান ফু-ওয়াং ফুডসের সাবেক এমডি আরিফ আহমেদ চৌধুরীসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৩ বরিশালে প্রশাসন ম্যানেজ করে আবাসিক হোটেলে জমজমাট দেহ ব্যবসা মুক্ত গণমাধ্যম মঞ্চের নির্বাহী কমিটির সভাপতি শিমুল পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক, আব্দুর রহিম, মুখপাত্র আবদুল্লাহ মজুমদার

জাল সনদের সংবাদ প্রকাশের পর চাকরি করা সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছে এনটিআরসিএ

  • আপডেট সময় : ১০:২৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
  • ৩১৭১ বার পড়া হয়েছে

মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:- পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জাল সনদে চাকরি করা সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন এনটিআরসিএ। এর পূর্বে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে এক যুগ চাকরি অভিযোগ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমানের নির্দেশে ওই শিক্ষিকার সনদ যাচাইয়ের জন্য প্রেরণ করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। অবশেষে যাচাইয়ের পর জেলার রাণীনগরের মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুনের শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি জাল বলে প্রমাণিত হয়।

জানা যায়, শিক্ষক ময়না খাতুন ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে পাস করা একটি ভূয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ নিয়েছিলেন ময়না খাতুন। তিনি ওই বিদ্যালয়ে ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর বাংলা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন। এরপর তিনি ২০১১ সালের ১লা মে বিএডসহ এমপিওভুক্ত হন। তিনি জাল সনদ দিয়ে নিয়োগ পেয়ে এক যুগ থেকে সরকারি কোষাগার থেকে অবৈধভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ২৩ লাখ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করেছেন বলে জানা যায়। সেই সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন উজ্জ্বল কুমার। যিনি বর্তমানেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন। তার হাতেই নিয়োগ হয়েছিল এই জাল শিক্ষক ময়না খাতুনের।

উল্লেখ্য যে, গত ২১ মে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর সহকারী পরিচালক ফয়জার আহমেদ স্বাক্ষরিত সনদ যাচাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, রেকর্ডদৃষ্টে দেখা যায়, ৫১০১০০৫১ রোল ও ৭০০৬০৮১ নম্বর প্রত্যয়নপত্রধারী রেকর্ডদৃষ্টে নিবন্ধন প্রার্থীর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ রেকর্ডদৃষ্টে জাল/ভুয়া মর্মে দলিল পৃষ্ঠে প্রতীয়মান হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে থানায় মামলা দায়ের পূর্বক অত্র অফিসকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এবিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল কুমার সরকারের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কোন মন্তব্য করবেন না বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।

চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে আমি ওই শিক্ষিকার সব কাগজপত্র চেয়ে চিঠি করেছিলাম। এরপর সে তার কাগজপত্র জমা দিলে সেগুলো যাচাইয়ের জন্য পাঠিয়েছিলাম। যাচাই শেষে ওই শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল বলে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশনা দিয়েছে এনটিআরসিএ। এখন সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করা ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে অবৈধ স্থাপনা বন্ধ করলেন প্রশাসন

জাল সনদের সংবাদ প্রকাশের পর চাকরি করা সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছে এনটিআরসিএ

আপডেট সময় : ১০:২৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:- পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জাল সনদে চাকরি করা সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন এনটিআরসিএ। এর পূর্বে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে এক যুগ চাকরি অভিযোগ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমানের নির্দেশে ওই শিক্ষিকার সনদ যাচাইয়ের জন্য প্রেরণ করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। অবশেষে যাচাইয়ের পর জেলার রাণীনগরের মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুনের শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি জাল বলে প্রমাণিত হয়।

জানা যায়, শিক্ষক ময়না খাতুন ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে পাস করা একটি ভূয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ নিয়েছিলেন ময়না খাতুন। তিনি ওই বিদ্যালয়ে ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর বাংলা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন। এরপর তিনি ২০১১ সালের ১লা মে বিএডসহ এমপিওভুক্ত হন। তিনি জাল সনদ দিয়ে নিয়োগ পেয়ে এক যুগ থেকে সরকারি কোষাগার থেকে অবৈধভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ২৩ লাখ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করেছেন বলে জানা যায়। সেই সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন উজ্জ্বল কুমার। যিনি বর্তমানেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন। তার হাতেই নিয়োগ হয়েছিল এই জাল শিক্ষক ময়না খাতুনের।

উল্লেখ্য যে, গত ২১ মে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর সহকারী পরিচালক ফয়জার আহমেদ স্বাক্ষরিত সনদ যাচাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, রেকর্ডদৃষ্টে দেখা যায়, ৫১০১০০৫১ রোল ও ৭০০৬০৮১ নম্বর প্রত্যয়নপত্রধারী রেকর্ডদৃষ্টে নিবন্ধন প্রার্থীর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ রেকর্ডদৃষ্টে জাল/ভুয়া মর্মে দলিল পৃষ্ঠে প্রতীয়মান হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে থানায় মামলা দায়ের পূর্বক অত্র অফিসকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এবিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল কুমার সরকারের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কোন মন্তব্য করবেন না বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।

চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে আমি ওই শিক্ষিকার সব কাগজপত্র চেয়ে চিঠি করেছিলাম। এরপর সে তার কাগজপত্র জমা দিলে সেগুলো যাচাইয়ের জন্য পাঠিয়েছিলাম। যাচাই শেষে ওই শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল বলে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশনা দিয়েছে এনটিআরসিএ। এখন সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করা ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।