মোঃ জাকির হোসেন স্টাফ রিপোর্টের:- জুড়ীতে আরমান নামে এক যুবককে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামী তানভীর ও তার ভাই তুহিনকে গত মঙ্গলবার জুড়ী থানা পুলিশ দুই দিনের রিমান্ডে আনে। বুধবার আসামি তানভীরকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত করে তার দেখানো মতে আরমান হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আসামীদের মৌলভীবাজার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, নিহত আরমান উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরেরগাঁও গ্রামের প্রবাসী সুমন আহমদের ছেলে। ঘটনাটি শনিবার (২২ জুন) গভীর রাতে গরেরগাঁও গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় একই গ্রামের তৈমুছ আলীর ছেলে রফিক মিয়া (৪২) গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। রবিবার (২৩ জুন) নিহত আরমানের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে গরের গাঁও জামে মসজিদে জানাজার পর দাফন করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে জুড়ী থানা পুলিশ ঘটনার দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন একই গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে ইয়াজ মিয়া (৫০), তার দুই ছেলে তানভীর আহমেদ (২৫) ও তুহিন আহমেদ (১৬) এবং মৃত চেরাগ আলীর ছেলে তাজ উদ্দিন (৫৫)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রফিক মিয়া জানান, তিনি একজন সিএনজি চালক। প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন সিএনজি চালিয়ে বাড়ীতে আসছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তানভীর ও তার সহযোগীরা আরমানকে দাড়ালো ছুড়ি দিয়ে উপর্যপুরী আঘাত করে হত্যা করে এবং তাকেও গুরুতর আহত করে।
আরমানের মা রহিমা আক্তার জানান,তার ছেলেকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে তানভীর, তুহিন, ইয়াজ মিয়া,তাজ মিয়াসহ আরো কয়েকজন মিলে খুন করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করায় জুড়ী থানার ওসিকে ধন্যবাদ জানান এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন।
আরমানের দাদী সোনারা বেগম বলেন, তানভীর ও তার সহযোগিরা আমার নাতিকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে খুন করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এদিকে আরমান হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে এলাকায় কয়েকটি মানববন্ধন প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সভা থেকে এলাকাবাসী ও পরিবারের পক্ষ থেকে নিরপরাধ আরমানের খুনিদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।