ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লোহাগাড়ার পদুয়ায় এক পরিবারের টিনের বাউন্ডারি ভাংচুরের অভিযোগ ! লোহাগাড়ায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগ সোহরাব হোসেন বুলবুল গ্রেপ্তার বাকেরগঞ্জে ১০ টি চোরাই অটোরিকশা উদ্ধার চোরচক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার প্রায় দুই শতাধিক চোরাই রিক্সার আলামত উদ্ধার বদলগাছীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু  জীনামেজু টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট” এর শিক্ষকদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান   মধুপুরে ঈদের সামনে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে জরিমানা পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাকেরগঞ্জ বাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য নাঈম মৃধা সাভার থেকে গর্ভবতী নারীকে অপহরণের অভিযোগ, নেপথ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী আসলাম পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন  বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন খান অপু! 

ঢাকার রাজপথে আবারো ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের চমক!

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • ৩০৮১ বার পড়া হয়েছে

খান মেহেদী :- কোটা আন্দোলনকে ঘিরে যখন রাজনৈতিক উত্তেজনা সহিংসতার শঙ্কা দেখা দিয়েছে, ঠিক সেই সময় আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্রাটকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

ঢাকা মহানগরীতে একক নেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি কর্মী যার অনুসারী তার নাম ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।

১৫ জুলাই, সোমবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে হাজার হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে। মিছিলটি গুলিস্তানস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে জড়ো হয়।

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে যখন রাজনৈতিক উত্তেজনা, তখন অনেক কর্মীরাই সম্রাটের মতো একজন সাহসী এবং রাজপথের নেতাকে খুঁজছেন।তাঁরা মনে করছেন যে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের সাংগঠনিক অবস্থা এখন স্মরণকালে সবচেয়ে দুর্বল।এতটাই দুর্বল যে তারা বিএনপির আন্দোলন এবং বিএনপি যদি কোন রকম জ্বালাও-পোড়াও বা সহিংসতা করে সেটাকে সামাল দেওয়ার সক্ষমতাও রাখে না।

কর্মীদের মধ্যেও এ ধরনের আলোচনা হচ্ছে যে এটি সামাল দিতে পারেন একজনই।তিনি হলেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।কারণ তার নিজস্ব কর্মী বাহিনী রয়েছে।এই সম্রাটই ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি জামাতকে প্রতিহত করেছিল।বিভিন্ন সংকটের সময় সম্রাটের কর্মীরাই রাজপথে বিএনপি জামাতের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পেরেছিল।কিন্তু এখন সম্রাট কতটুকু কার্যকর থাকবেন এবং কতটুকু সক্রিয় হবেন সেটি নিয়ে কারো কারো সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

গোটা গুলিস্তান এলাকা মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত করে তুলেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট অনুসারী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে নেতাকর্মীরা ‘রাজাকারের আস্তানা, ভেঙে দাও উড়িয়ে দাও’, ‘রাজাকারের চামড়া, তুলে নেবো আমরা’, ‘হই হই রই রই, জামায়াত-শিবির গেলি কই’, ‘তোরা যারা রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এসময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, বিগত কিছুদিন ধরে দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন হচ্ছে। এ আন্দোলন নিয়ে সরকার যে সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু যখনই শিক্ষার্থীরা কোনো আন্দোলন শুরু করে তখন জামায়াত বিএনপির সন্ত্রাসীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে চেপে বসে ক্ষমতার যাওয়ার চেষ্টা করে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আপনাদের এ মনোবাসনা কখনো পূর্ণ হবে না।

এসময় যেকোনো অপতৎপরতা প্রতিরোধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সবসময় রাজপথে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লোহাগাড়ার পদুয়ায় এক পরিবারের টিনের বাউন্ডারি ভাংচুরের অভিযোগ !

ঢাকার রাজপথে আবারো ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের চমক!

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

খান মেহেদী :- কোটা আন্দোলনকে ঘিরে যখন রাজনৈতিক উত্তেজনা সহিংসতার শঙ্কা দেখা দিয়েছে, ঠিক সেই সময় আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্রাটকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

ঢাকা মহানগরীতে একক নেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি কর্মী যার অনুসারী তার নাম ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।

১৫ জুলাই, সোমবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে হাজার হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে। মিছিলটি গুলিস্তানস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে জড়ো হয়।

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে যখন রাজনৈতিক উত্তেজনা, তখন অনেক কর্মীরাই সম্রাটের মতো একজন সাহসী এবং রাজপথের নেতাকে খুঁজছেন।তাঁরা মনে করছেন যে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের সাংগঠনিক অবস্থা এখন স্মরণকালে সবচেয়ে দুর্বল।এতটাই দুর্বল যে তারা বিএনপির আন্দোলন এবং বিএনপি যদি কোন রকম জ্বালাও-পোড়াও বা সহিংসতা করে সেটাকে সামাল দেওয়ার সক্ষমতাও রাখে না।

কর্মীদের মধ্যেও এ ধরনের আলোচনা হচ্ছে যে এটি সামাল দিতে পারেন একজনই।তিনি হলেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।কারণ তার নিজস্ব কর্মী বাহিনী রয়েছে।এই সম্রাটই ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি জামাতকে প্রতিহত করেছিল।বিভিন্ন সংকটের সময় সম্রাটের কর্মীরাই রাজপথে বিএনপি জামাতের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পেরেছিল।কিন্তু এখন সম্রাট কতটুকু কার্যকর থাকবেন এবং কতটুকু সক্রিয় হবেন সেটি নিয়ে কারো কারো সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

গোটা গুলিস্তান এলাকা মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত করে তুলেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট অনুসারী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে নেতাকর্মীরা ‘রাজাকারের আস্তানা, ভেঙে দাও উড়িয়ে দাও’, ‘রাজাকারের চামড়া, তুলে নেবো আমরা’, ‘হই হই রই রই, জামায়াত-শিবির গেলি কই’, ‘তোরা যারা রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এসময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, বিগত কিছুদিন ধরে দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন হচ্ছে। এ আন্দোলন নিয়ে সরকার যে সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু যখনই শিক্ষার্থীরা কোনো আন্দোলন শুরু করে তখন জামায়াত বিএনপির সন্ত্রাসীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে চেপে বসে ক্ষমতার যাওয়ার চেষ্টা করে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আপনাদের এ মনোবাসনা কখনো পূর্ণ হবে না।

এসময় যেকোনো অপতৎপরতা প্রতিরোধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সবসময় রাজপথে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।