সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:- সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক তাহিরপুর উপজেলা হেডকোয়াটার থেকে -বাদাঘাট সড়ক নির্মাণে দরপত্র আহবানের অনুমিতসহ প্রাক্কলন অনুমোদন হওয়ায় হাওর এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।
দীর্ঘ ৩০বছর পর হাওর এলাকার উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তাহিরপুরের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক তাহিরপুর উপজেলা হেডকোয়াটার থেকে -বাদাঘাট রাস্তা নির্মাণে ৯২কোটি ৫৬লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যায়ে দরপত্র আহবানের অনুমিতসহ প্রাক্কলন অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন এলাকার সচেতন মহল সহ সাধারণ মানুষ।
বুধবার এসংক্রান্ত একটি চিঠি স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন তার নিজেস্ব ফেসবুকে শেয়ার করার পর থেকে উপজেলা জুড়ে এ আনন্দ জোয়ার বইছে। এতে বাদাঘাট, উত্তর বড়দল ও উত্তর শ্রীপুর এ তিনটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের উপজেলা সদরের সাথে যাতায়াত ও ব্যবসায়ী প্রয়োজনে ব্যাপক ভোগান্তি দূর হবে।
বাদাঘাট বাজারের ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া জানান, এই সড়কটি বেহাল দশার কারনে আমাদের উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মারাত্মক ভোগান্তিতে পরতে হতো। ব্যবসার বিভিন্ন কাছে উপজেলা সদরে যেতে কষ্ট হতো। আজ রাস্তা নির্বাণ হবে এমন খবর শুনে খুবি অনন্দ লাগছে। প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের উন্নয়নের রূপকার রতন এমপিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই।
এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের দরপত্র আহবানের অনুমিত পত্র দেখে বিবৃতি দিয়েছন তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলখাছ উদ্দিন খন্দকার, বালিজুরী ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন, উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক হাফিজ উদ্দিন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ উপজেলা সভাপতি মিলন তালুকদার সহ অনেকেই।
তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলখাছ উদ্দিন খন্দকার বলেন, সীমান্ত তিনটি শুল্কস্টেশন থেকে কয়লা, চুনাপাথর ও বালু ব্যবসায়ীরা ব্যাংকিং কাজে সহজে উপজেলা সদরে যেতে পারবে। এতে ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাগব হবে।
তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর বলেন, তাহিরপুর – বাদাঘাট সড়কটি তাহিরপুরবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি। মাননীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রচেষ্টায় আমাদের নেত্রী মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাওর এলাকার প্রতি সুদৃষ্টি থাকায় আজ আমাদের আরোও একটি স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।