ঢাকা ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক মেহেদী হাসানের উপর বখাটে দুস্কৃতি কারীদের হামলা দেশে নমরুদের জমানা শেষ, যারা গুমের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছে এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার দিন শেষ দিন দুপুরে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক দখল। ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা ভাষা সৈনিক যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম বদিউল আলম চৌধুরী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে — আবু সুফিয়ান বিএনপি নেতাকর্মীরা দিনরাত হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকবে-বক্কর আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ নিরাপদ সড়ক আন্দোলন জোরদারে চট্টগ্রামে পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ (পিআইজি) গঠিত সাতকানিয়ার কেরানী হাটে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান আনোয়ারায় ক্যান্সার আক্রান্ত হাসানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

তেজগাঁও থানার চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে গ্রেফতার ৩

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০২:০৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ২২৮৮ বার পড়া হয়েছে

মাসুদ রানা,সিনিয়র রিপোর্টারঃ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২৩ ইং রাত অনুমান ১২.ঘটিকার সময় তেজগাঁও থানাধীন পানি ভবন সংলগ্ন ফুটপাতে পূর্ব পরিচিত রনির সাথে ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেন আড্ডা দিচ্ছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেনকে গ্রেফতারকৃত রনি ও বিজয় কৌশলে বাসা থেকে বের করে নিয়ে আসে ও আড্ডার মাধ্যমে সময় ক্ষেপন করতে থাকে।

আড্ডার একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত মূল অভিযুক্ত মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর তাদের সাথে আড্ডায় যুক্ত হয়। গ্রেফতারকৃত মূল অভিযুক্ত মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর ১ বছর কারা ভোগের পর জামিনে এসে ২ দিনে ১২টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। পরবর্তীতে ভিকটিম ও গ্রেফতারকৃতরা ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন বিক্রির মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা প্রাপ্তির সম্ভাবনা উদ্যাপন করতে বারে গিয়ে মদ পান করতে চায়।

গ্রেফতারকৃত মূল অভিযুক্ত মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর বার থেকে মদ এনে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগির সময় ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেনের সাথে বাক-বিতন্ডা শুরু হয় এবং ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন বিক্রির বিষয়ে নিজেদের মধ্যে গালমন্দ হয়। পূর্ব শত্রুতার আক্রোশে গ্রেফতারকৃত মূল অভিযুক্ত মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর নিজের কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেনের বাম পায়ের উরুতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেন ফুটপাতে পড়ে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ০২.টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিকভাবে তেজগাঁও থানার ২ টি আভিযানিক টিম ঘটনাস্থল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। সংবাদ পেয়ে ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেনের আত্মীয়-স্বজনরাও হাসপাতালে যান। সুরতহাল ও পোস্টমর্টেম শেষে ভিকটিমের লাশ তার স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হয়। হত্যাকান্ডের বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও হত্যাকান্ডে সাম্ভব্য জড়িতদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় তেজগাঁও থানার ২ টি আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডে সাথে জড়িত মূল অভিযুক্ত ও অন্যান্য সহযোগীদের রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম রাজাবাজার ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন মোল্লাবাড়ী বস্তি এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি)আজিমুল হক সাংবাদিকদের জানান,গ্রেফতারকৃতদের সাথে নিহত ভিকটিমের পূর্ব শত্রুতার আক্রোশের জের ধরে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃত মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজসে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটায়।

তিনি আরো জানান গ্রেফতারকৃত মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর এর বিরুদ্ধে ডিএমপি’র তেজগাঁও থানা ও হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র, দস্যুতা ও মাদক সংক্রান্তে ৭টি মামলা রয়েছে।গ্রেফতারকৃত মোঃ রনি এর বিরুদ্ধে ডিএমপি’র তেজগাঁও থানা ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় অস্ত্র-মাদক, দস্যুতা ও ডাকাতি সংক্রান্তে ১৩টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত মোঃ বিজয় এর বিরুদ্ধে ডিএমপি’র তেজগাঁও থানা ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র-মাদক, দস্যুতা ও ডাকাতি সংক্রান্তে ১৭টি মামলা রয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তেজগাঁও থানার চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যার ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন,মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর (২৩), মোঃ রনি (২৬) ও মোঃ বিজয় (৩৪)। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ০১টি ধারালো চাকু ও ১০টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে ও জানান তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক মেহেদী হাসানের উপর বখাটে দুস্কৃতি কারীদের হামলা

তেজগাঁও থানার চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে গ্রেফতার ৩

আপডেট সময় : ০২:০৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মাসুদ রানা,সিনিয়র রিপোর্টারঃ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২৩ ইং রাত অনুমান ১২.ঘটিকার সময় তেজগাঁও থানাধীন পানি ভবন সংলগ্ন ফুটপাতে পূর্ব পরিচিত রনির সাথে ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেন আড্ডা দিচ্ছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেনকে গ্রেফতারকৃত রনি ও বিজয় কৌশলে বাসা থেকে বের করে নিয়ে আসে ও আড্ডার মাধ্যমে সময় ক্ষেপন করতে থাকে।

আড্ডার একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত মূল অভিযুক্ত মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর তাদের সাথে আড্ডায় যুক্ত হয়। গ্রেফতারকৃত মূল অভিযুক্ত মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর ১ বছর কারা ভোগের পর জামিনে এসে ২ দিনে ১২টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। পরবর্তীতে ভিকটিম ও গ্রেফতারকৃতরা ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন বিক্রির মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা প্রাপ্তির সম্ভাবনা উদ্যাপন করতে বারে গিয়ে মদ পান করতে চায়।

গ্রেফতারকৃত মূল অভিযুক্ত মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর বার থেকে মদ এনে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগির সময় ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেনের সাথে বাক-বিতন্ডা শুরু হয় এবং ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন বিক্রির বিষয়ে নিজেদের মধ্যে গালমন্দ হয়। পূর্ব শত্রুতার আক্রোশে গ্রেফতারকৃত মূল অভিযুক্ত মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর নিজের কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেনের বাম পায়ের উরুতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেন ফুটপাতে পড়ে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ০২.টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিকভাবে তেজগাঁও থানার ২ টি আভিযানিক টিম ঘটনাস্থল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। সংবাদ পেয়ে ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেনের আত্মীয়-স্বজনরাও হাসপাতালে যান। সুরতহাল ও পোস্টমর্টেম শেষে ভিকটিমের লাশ তার স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হয়। হত্যাকান্ডের বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও হত্যাকান্ডে সাম্ভব্য জড়িতদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় তেজগাঁও থানার ২ টি আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডে সাথে জড়িত মূল অভিযুক্ত ও অন্যান্য সহযোগীদের রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম রাজাবাজার ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন মোল্লাবাড়ী বস্তি এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি)আজিমুল হক সাংবাদিকদের জানান,গ্রেফতারকৃতদের সাথে নিহত ভিকটিমের পূর্ব শত্রুতার আক্রোশের জের ধরে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃত মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজসে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটায়।

তিনি আরো জানান গ্রেফতারকৃত মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর এর বিরুদ্ধে ডিএমপি’র তেজগাঁও থানা ও হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র, দস্যুতা ও মাদক সংক্রান্তে ৭টি মামলা রয়েছে।গ্রেফতারকৃত মোঃ রনি এর বিরুদ্ধে ডিএমপি’র তেজগাঁও থানা ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় অস্ত্র-মাদক, দস্যুতা ও ডাকাতি সংক্রান্তে ১৩টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত মোঃ বিজয় এর বিরুদ্ধে ডিএমপি’র তেজগাঁও থানা ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র-মাদক, দস্যুতা ও ডাকাতি সংক্রান্তে ১৭টি মামলা রয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তেজগাঁও থানার চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যার ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন,মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির সিটু সাব্বির সাগর (২৩), মোঃ রনি (২৬) ও মোঃ বিজয় (৩৪)। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ০১টি ধারালো চাকু ও ১০টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে ও জানান তিনি।