ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে আহত পরিবারের মাঝে সরকারি অনুদান বিতরণ তৃণমূলের জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে আনসার ভিডিপির কর্মসূচি ‘প্রান্তিক শক্তি’ জাহাজ আত্মসাৎ ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন তিতাস গ্যাসে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে উত্তাল পরিবেশ শাহবাগের প্রহসনের আন্দোলন নিয়ে নাট্যনির্মাতা রানা বর্তমানের তীব্র ক্ষোভ রহমতগস্থ গণপূর্তে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঠিকাদার সমিতি চট্টগ্রাম জোনের মানববন্ধন নৌপথে পণ্য ও কোরবানীর পশু পরিবহনে জননিরাপত্তায় নির্বিঘ্ন করতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান মাদারীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডিবির হাতে গ্রেপ্তার, এলাকাবাসীর স্বস্তি মা পদক পেলেন মিসেস ফজলুতুননেছা বাকেরগঞ্জের চাঁদার দাবিতে গৃহবধুর উপর হামলা পাঁচ শতাধিক মুরগি লুট

দীর্ঘ ৫০ বছর পর গোলাম কিবরিয়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মুকসুদপুর উপজেলা ও ভাঙ্গা উপজেলার মধ্যে সেতু বন্ধন!

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
  • ৫৩৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘ ৫০ বছর পর অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা ও ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সেতু বন্ধনে আবদ্ধ করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দুই জেলার মানুষ সেতু বন্ধবে আবদ্ধ হতে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।

এবিষয়ে গোলাম কিবরিয়া মোল্লার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট তুলে ধরা হলো –

এপাড়ের মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের ফতেপট্রি গ্রাম ওপাড়ে ভাংগা উপজেলার ঘাড়ুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ হাট। দুটি উপজেলাকে বিভক্ত করে রেখেছে অতি শান্ত সৌন্দর্যময় কুমার নদ।

আসেপাশে উল্লেখযোগ্য কোন বাজার না থাকায় আমাদের পাড়ের দৈনন্দিন জিনিসপত্রের জন্য আমরা শরীফাবাদ হাট ও বাজারের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। অপরদিকে আমাদের গ্রামের উৎপাদিত পন্য ও কৃষি সামগ্রীর উপর শরীফাবাদ বাজার ও বাজারের আশেপাশের অঞ্চলের মানুষেরা অনেকটা নির্ভরশীল। দুই পাড়ের মানুষ প্রায় সবাই সবার আত্মীয় হওয়ার কারণে সবাইকে উভয় পাড়ে ঘনঘন যাতায়াত করতে হয়।

আশির দশকে এখানকার অস্থায়ী বাঁশের সাকোটি ভেঙে পড়ে। থানা ও জেলা ভিন্ন হওয়ার কারনে নানা জটিলতায় এখানে সেতু করা সম্ভব হয়নি, যেকারণে দুই পাড়ে পারাপারের জন্য একটি মাত্র নৌকার উপরই আমরা নির্ভরশীল ছিলাম।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একঝাঁক উদিয়মান সাহসী নেতৃত্বের কারণে দুইপাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। আমরা দুইপাড়ের মানুষ একসঙ্গে বসে নিজনিজ অর্থায়নে কুমার নদের এই আংশে বাঁশের অস্থায়ী সেতু মির্মাণ করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা নির্মাণ কাজ শুরু করে দিয়েছি।

ধন্যবাদ জানাই সেতু তৈরী করার দুই পাড়ের সকল উদ্যোক্তা এবং সহযোগীদের। আমাদের ইউনিটির কারণে আমরা অচিরেই আমাদের উচ্চ মহলে আলাপ আলোচনা করে পাকা সেতু পাশের বন্দবস্ত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে আহত পরিবারের মাঝে সরকারি অনুদান বিতরণ

দীর্ঘ ৫০ বছর পর গোলাম কিবরিয়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মুকসুদপুর উপজেলা ও ভাঙ্গা উপজেলার মধ্যে সেতু বন্ধন!

আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘ ৫০ বছর পর অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা ও ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সেতু বন্ধনে আবদ্ধ করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দুই জেলার মানুষ সেতু বন্ধবে আবদ্ধ হতে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।

এবিষয়ে গোলাম কিবরিয়া মোল্লার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট তুলে ধরা হলো –

এপাড়ের মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের ফতেপট্রি গ্রাম ওপাড়ে ভাংগা উপজেলার ঘাড়ুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ হাট। দুটি উপজেলাকে বিভক্ত করে রেখেছে অতি শান্ত সৌন্দর্যময় কুমার নদ।

আসেপাশে উল্লেখযোগ্য কোন বাজার না থাকায় আমাদের পাড়ের দৈনন্দিন জিনিসপত্রের জন্য আমরা শরীফাবাদ হাট ও বাজারের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। অপরদিকে আমাদের গ্রামের উৎপাদিত পন্য ও কৃষি সামগ্রীর উপর শরীফাবাদ বাজার ও বাজারের আশেপাশের অঞ্চলের মানুষেরা অনেকটা নির্ভরশীল। দুই পাড়ের মানুষ প্রায় সবাই সবার আত্মীয় হওয়ার কারণে সবাইকে উভয় পাড়ে ঘনঘন যাতায়াত করতে হয়।

আশির দশকে এখানকার অস্থায়ী বাঁশের সাকোটি ভেঙে পড়ে। থানা ও জেলা ভিন্ন হওয়ার কারনে নানা জটিলতায় এখানে সেতু করা সম্ভব হয়নি, যেকারণে দুই পাড়ে পারাপারের জন্য একটি মাত্র নৌকার উপরই আমরা নির্ভরশীল ছিলাম।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একঝাঁক উদিয়মান সাহসী নেতৃত্বের কারণে দুইপাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। আমরা দুইপাড়ের মানুষ একসঙ্গে বসে নিজনিজ অর্থায়নে কুমার নদের এই আংশে বাঁশের অস্থায়ী সেতু মির্মাণ করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা নির্মাণ কাজ শুরু করে দিয়েছি।

ধন্যবাদ জানাই সেতু তৈরী করার দুই পাড়ের সকল উদ্যোক্তা এবং সহযোগীদের। আমাদের ইউনিটির কারণে আমরা অচিরেই আমাদের উচ্চ মহলে আলাপ আলোচনা করে পাকা সেতু পাশের বন্দবস্ত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।