ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন মধুপুরে ড্রাগন, কলা,আনারস ও পেঁপে চাষীর নিকট চাঁদা দাবী বাকেরগঞ্জে কাঁচা রাস্তা পাকা করার লক্ষে ছাত্র জনতার মানববন্ধন সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে অভিনব পন্থায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অবৈধ সম্পদ অর্জন বিএনপি নেতা লেয়াকত আলী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা হেলাল খানের নেতৃত্বে শহিদ মিনারে শিল্পী-কলাকুশলীরা রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জরুরি নির্দেশনা! হাটহাজারী দক্ষিণ মাদার্শা এলাকায় জবরদখল ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বিলুপ্ত কমিটির অপতৎপরতা ঠেকাতে

দূর্নীতিগ্রস্থ সাংবাদিক নেতাদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ২০৪৭ বার পড়া হয়েছে

 

বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মুখে নয় আগস্ট শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অন্তবর্তী কালীন কমিটির সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম শিল্পী। বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্য আরিয়ান লেনিনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান এর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর যখন প্রেসক্লাবে বিক্ষিপ্ত ছাত্রজনতা আক্রমণ করতে উদ্ভূত হয় তখন তৃণমূল সাংবাদিকরা দেশের সম্পদ প্রেসক্লাবকে রক্ষা করে। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র জনতার অভিযোগ বিগত দিনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবকে দলীয় কাজে ব্যবহার করেছেন,আন্দোলন কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন, এমনকি ছাত্রদের চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের পুলিশ ভ্যানে তুলে দেয়। এটা হচ্ছে অপসংবাদিকতা, সাংবাদিকরা কখনো এক পক্ষ হয়ে কাজ করতে পারে না। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের বিলুপ্ত কমিটির নেতারা নেতৃত্বে থেকে ক্লাবটিকে মাদক ও জুয়ার আসরে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া বক্তারা আরোও বলেন,প্রেসক্লাবে ছিলো শুধুমাত্র ক্লাবের সদস্যদের প্রবেশাধিকার,সাধারণ সাংবাদিকদের জন্য ছিলো এটি ক্যান্টনমেন্ট। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীদের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান তৈরিতে দেশের বিভিন্ন মানুষের অবদান রয়েছে। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের আশ্রয়স্থলে সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন যাবত সদস্য পদ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তৃণমূল সাংবাদিকরা জেগে উঠেছে। অতীতের সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের শৃংখল ভেঙে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে বৈষম্যহীন প্রেসক্লাব হিসেবে গড়ে তোলার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা যা পুরণ না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।ছাত্রদের বুকে নির্বিচারে গুলি চালানোর নেপথ্যের সহযোগিতাকারী সেসব সাংবাদিক নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানান বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক সমাজ।

এছাড়াও সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংবাদিক নেতাদের দূর্নীতি খতিয়ে দেখে তাদের বিচারের দাবী জানান বক্তারা,সেসকল সাংবাদিকদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয় মানববন্ধন থেকে।

এসময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম, কিরন শর্মা, মোঃজালাল উদ্দিন সাগর, কামরুজ্জামান রনি সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ । মানবন্ধনে যোগ দেয় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বিলুপ্ত কমিটির অপতৎপরতা ঠেকাতে

দূর্নীতিগ্রস্থ সাংবাদিক নেতাদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১০:৪৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪

 

বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মুখে নয় আগস্ট শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অন্তবর্তী কালীন কমিটির সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম শিল্পী। বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্য আরিয়ান লেনিনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান এর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর যখন প্রেসক্লাবে বিক্ষিপ্ত ছাত্রজনতা আক্রমণ করতে উদ্ভূত হয় তখন তৃণমূল সাংবাদিকরা দেশের সম্পদ প্রেসক্লাবকে রক্ষা করে। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র জনতার অভিযোগ বিগত দিনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবকে দলীয় কাজে ব্যবহার করেছেন,আন্দোলন কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন, এমনকি ছাত্রদের চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের পুলিশ ভ্যানে তুলে দেয়। এটা হচ্ছে অপসংবাদিকতা, সাংবাদিকরা কখনো এক পক্ষ হয়ে কাজ করতে পারে না। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের বিলুপ্ত কমিটির নেতারা নেতৃত্বে থেকে ক্লাবটিকে মাদক ও জুয়ার আসরে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া বক্তারা আরোও বলেন,প্রেসক্লাবে ছিলো শুধুমাত্র ক্লাবের সদস্যদের প্রবেশাধিকার,সাধারণ সাংবাদিকদের জন্য ছিলো এটি ক্যান্টনমেন্ট। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীদের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান তৈরিতে দেশের বিভিন্ন মানুষের অবদান রয়েছে। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের আশ্রয়স্থলে সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন যাবত সদস্য পদ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তৃণমূল সাংবাদিকরা জেগে উঠেছে। অতীতের সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের শৃংখল ভেঙে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে বৈষম্যহীন প্রেসক্লাব হিসেবে গড়ে তোলার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা যা পুরণ না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।ছাত্রদের বুকে নির্বিচারে গুলি চালানোর নেপথ্যের সহযোগিতাকারী সেসব সাংবাদিক নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানান বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক সমাজ।

এছাড়াও সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংবাদিক নেতাদের দূর্নীতি খতিয়ে দেখে তাদের বিচারের দাবী জানান বক্তারা,সেসকল সাংবাদিকদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয় মানববন্ধন থেকে।

এসময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম, কিরন শর্মা, মোঃজালাল উদ্দিন সাগর, কামরুজ্জামান রনি সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ । মানবন্ধনে যোগ দেয় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।