ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদপুরে অবৈধ স্থাপনা বন্ধ করলেন প্রশাসন বরিশালে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আরিফ ফিলিং ষ্টেশন দখল করে ব্যবসা ঘুষ ও নানা অনিয়মের অভিযোগে বাকেরগঞ্জ থানার বিতর্কিত ওসি সফিকুলের বদলি দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট একদিনে ৩ অভিযান কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত পুলিশ সুপারের নির্দেশ: সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন বরিশালে আ.লীগ কর্মীর স্ত্রী স্কুল সভাপতি! সংবর্ধনা দিল প্রধান শিক্ষক !! চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় গর্বের বাকেরগঞ্জের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান ফু-ওয়াং ফুডসের সাবেক এমডি আরিফ আহমেদ চৌধুরীসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৩ বরিশালে প্রশাসন ম্যানেজ করে আবাসিক হোটেলে জমজমাট দেহ ব্যবসা মুক্ত গণমাধ্যম মঞ্চের নির্বাহী কমিটির সভাপতি শিমুল পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক, আব্দুর রহিম, মুখপাত্র আবদুল্লাহ মজুমদার

দেশে রাজনীতিকদের হাতে ১০ হাজার অস্ত্র

  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৩৩৯৪ বার পড়া হয়েছে

খান মেহেদী :- দেশে সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাছে রয়েছে ১০ হাজারের বেশি লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র।
লাইসেন্সধারী এসব ব্যক্তিদের তিন-চতুর্থাংশই বর্তমান সরকারি দলের সঙ্গে জড়িত। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার সংখ্যায় এর পরেই আছেন বিএনপির নেতারা। বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের হিসাব রাখা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ছাত্র-শ্রম বিভাগের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে থাকা লাইসেন্সের বেশির ভাগই দেওয়া হয়েছে গত ১৪ বছরে। আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি, দলের মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি কিছু কর্মীও রাজনৈতিক পরিচয়ে আবেদন করে অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন। আর বিএনপির নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন দলটি ক্ষমতায় থাকাকালে।

পুলিশের বিশেষ শাখার ফায়ার আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এফএএমএস) মাধ্যমে এসব অস্ত্রের হিসাব রাখা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য দেওয়ায় কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন। রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় আবেদন মঞ্জুরের আগে দায়সারাভাবে গোয়েন্দা তদন্তও হয়। এভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কেউ কেউ যে বিপথগামী হন, এমন নজিরও আছে। মাঝে মাঝে শর্ত লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলেও অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের ঘটনা খুবই কম।

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা, ২০১৬-এর ৩২ (ঞ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য বিশেষ প্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তাদের লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত আয়কর পরিশোধে বাধ্যবাধকতা থাকবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুযোগই নিচ্ছেন বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

পুলিশের বিশেষ শাখার সংশ্লিষ্ট বিভাগের সূত্র বলছে, ফায়ার আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের গত ২০ আগস্ট পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৫০ হাজার ৩১০টি। ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৪৫ হাজার ২২৬ টি। এগুলোর মধ্যে ১০ হাজার ২১৫টি রয়েছে রাজনীতিকদের নামে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হাতে রয়েছে ৭ হাজার ২১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র। বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে ২ হাজার ৫৮৭টি এবং অন্যান্য দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে মাত্র ৭৯টি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে একনলা বন্দুক ২০ হাজার ৮০৯টি, পিস্তল ৪ হাজার ৬৮৩টি, শটগান ৫ হাজার ৪৪৪টি। বাকিগুলো দোনলা বন্দুক, রিভলবার ও রাইফেল। বিভাগভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে ঢাকা বিভাগে, ১৪ হাজার ৬৮৩টি। সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে, ২ হাজার ১১৮টি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে অবৈধ স্থাপনা বন্ধ করলেন প্রশাসন

দেশে রাজনীতিকদের হাতে ১০ হাজার অস্ত্র

আপডেট সময় : ১২:৫৩:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

খান মেহেদী :- দেশে সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাছে রয়েছে ১০ হাজারের বেশি লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র।
লাইসেন্সধারী এসব ব্যক্তিদের তিন-চতুর্থাংশই বর্তমান সরকারি দলের সঙ্গে জড়িত। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার সংখ্যায় এর পরেই আছেন বিএনপির নেতারা। বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের হিসাব রাখা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ছাত্র-শ্রম বিভাগের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে থাকা লাইসেন্সের বেশির ভাগই দেওয়া হয়েছে গত ১৪ বছরে। আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি, দলের মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি কিছু কর্মীও রাজনৈতিক পরিচয়ে আবেদন করে অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন। আর বিএনপির নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন দলটি ক্ষমতায় থাকাকালে।

পুলিশের বিশেষ শাখার ফায়ার আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এফএএমএস) মাধ্যমে এসব অস্ত্রের হিসাব রাখা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য দেওয়ায় কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন। রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় আবেদন মঞ্জুরের আগে দায়সারাভাবে গোয়েন্দা তদন্তও হয়। এভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কেউ কেউ যে বিপথগামী হন, এমন নজিরও আছে। মাঝে মাঝে শর্ত লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলেও অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের ঘটনা খুবই কম।

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা, ২০১৬-এর ৩২ (ঞ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য বিশেষ প্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তাদের লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত আয়কর পরিশোধে বাধ্যবাধকতা থাকবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুযোগই নিচ্ছেন বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

পুলিশের বিশেষ শাখার সংশ্লিষ্ট বিভাগের সূত্র বলছে, ফায়ার আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের গত ২০ আগস্ট পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৫০ হাজার ৩১০টি। ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৪৫ হাজার ২২৬ টি। এগুলোর মধ্যে ১০ হাজার ২১৫টি রয়েছে রাজনীতিকদের নামে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হাতে রয়েছে ৭ হাজার ২১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র। বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে ২ হাজার ৫৮৭টি এবং অন্যান্য দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে মাত্র ৭৯টি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে একনলা বন্দুক ২০ হাজার ৮০৯টি, পিস্তল ৪ হাজার ৬৮৩টি, শটগান ৫ হাজার ৪৪৪টি। বাকিগুলো দোনলা বন্দুক, রিভলবার ও রাইফেল। বিভাগভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে ঢাকা বিভাগে, ১৪ হাজার ৬৮৩টি। সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে, ২ হাজার ১১৮টি।