মোঃ শহিদুল ইসলাম,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃচট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন ৩৯ নং ওয়ার্ড ২নং নাবিক কলোনী আলীশাহা পাড়া রোড ভুইয়া বিল্ডিং এর ৩য় তলায় মেহেদী হাসান নামে (১৬) বছরের এক স্কুল ছাত্র গলায় রশি দিয়ে আত্নহত্যা করছেন।
১২ মার্চ রবিবার দুপুর ৩ টার দিকে এ আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান নিহত মেহেদী হাসানের মা হাসিনা বেগম। নিহত মেহেদী হাসানের পিতা মোঃ আশরাফুল,,গ্রাম পূর্ব ফরিদপুর,থানা- পলাশবাড়ী,জেলা- গাইবান্ধা। বর্তমানে ২নং নাবিক কলোনীর ভূইয়া বিল্ডিং এর তৃতীয় ৩লায় দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন নিহত মেহেদী হাসানের পরিবার।
নিহত মেহেদি হাসানের মা হাসিনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকাল ৭ টার দিকে আমার ছেলে আমাকে বলেছে,মা তুমি ভাত খেয়ে অফিসে চলে যাও,আমি একটু পরে স্কুলে জাব,হঠাৎ করে বাসা থেকে একটি ফোন করে বলেন,মেহেদী হাসান গলায় রশি দিয়ে আত্নহত্যা করেছেন,পরে আমি আমার স্বামী অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় এসে,দরজা ভেঙে দেখি আমার ছেলে গলায় রশিলাগানো অবস্থায় ঝুলছে,হাসিনা বেগম বলেন,আমার ছেলে বেপজা স্কুল এন্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেনী হতে নবম শ্রেনীতে উঠেছে,মেহেদী হাসান স্কুলের সবার সাথে অনেক ভালো সুসম্পর্ক,হঠাৎ করে কেন যে আমার ছেরেটা আত্নহত্যা করেছে আমরা কেউ জানি না।
নিহত মেহেদী হাসানের বিষয়টি তদন্ত ওসি নুরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা বর্তমানে কিছুই বলতে পারব না,লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালেের মরগে পাঠানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই আসল রহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে সঠিক তথ্য বেড়িয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
নিহত মেহেদী হাসানের ব্যবহারিত একটি স্মাট ফোন বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন।