ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডিএমপির নভেম্বর-২০২৪ মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন যারা বরিশালে আ’লীগ কর্মীদের সাথে বিএনপি নেত্রীর গোপন বৈঠক বর্তমানদিন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ চাকরি ও বিয়ের প্রলোভনে নারী পাচার কালে চক্রের দুই চীনা নাগরিক’কে গ্রেফতার করছে এয়ারপোর্ট এপিবিএন নারী উদ্যোক্তা মেলা/উভ ফুটেজ সংযুক্ত ভারত বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে হবে- মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নগরবাসীকে নিরাপদ রাখা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মূল দায়িত্ব:ডিএমপি কমিশনার দুদক ও বিচার বিভাগ আ.লীগের দাসে পরিণত হয়েছিল: আইন উপদেষ্টা ড.আসিফ নজরুল বাকেরগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালন

নারী কমিশনার’কে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় মূলহোতা মাসুদসহ জড়িত ২ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • ২২৪০ বার পড়া হয়েছে

মাসুদ রানা,সিনিয়র রিপোর্টারঃ গত ১৭ আগস্ট ২০২৩ইং রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর একজন নারী যুগ্ন কর কমিশনার রাজধানীর মগবাজার এলাকায় কতিপয় দুর্বৃত্ত কর্তৃক অপহৃত হন। পরবর্তীতে অপহরণের ১৮ ঘন্টা পর ১৮ আগস্ট ২০২৩ তারিখ রাজধানীর মাদারটেক এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিম তার সাবেক গাড়ি চালক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।যার মামলা নং ২০/১৭৩, তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২৩। উক্ত ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।র‍্যাব উক্ত অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-৩ এর যৌথ আভিযানিক দল গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি মোঃ মাসুম মাসুদ (৪২)তার ২ সহযোগী মোঃ আব্দুল জলিল পনু (৪৮)মোঃ হাফিজ শাহনি (৪৮)ঢাকা’দেরকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বর্ণিত অপহরণের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।

দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গনমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন,গ্রেফতারকৃত মাসুদ পূর্বে ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিল। গত ১ আগস্ট ২০২৩ তারিখ ব্যক্তিগত শৃঙ্খলাজনিত কারণে ভুক্তভোগী তাকে চাকুরী হতে অব্যাহতি দেন।ফলে গ্রেফতারকৃত মাসুদের মধ্যে ভুক্তভোগীর প্রতি ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও আক্রশের সৃষ্টি হয়। গ্রেফতারকৃত মাসুদ জানায়, তাকে চাকুরী হতে অব্যাহতি দেয়ায় ভুক্তভোগীর প্রথম স্বামী হারুন অর রশিদ তার সাথে যোগাযোগ করে এবং ভ্ক্তুভোগীকে উচিত শিক্ষা দিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গ্রেফতারকৃত মাসুদকে বিপুল পরিমান অর্থ ও উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখায়।

পরবর্তীতে গত ১৫ আগস্ট ২০২৩ তারিখ রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় গ্রেফতারকৃত মাসুদ তার সহযোগী হাফিজ, পনু, রাজু, সাব্বির, সাইফুল ও শান্ত’কে পরিকল্পনার কথা জানায় ও সবাইকে প্রদানকৃত টাকা বণ্টন করে দেয়। তারা রাজধানীর বেইলী রোড এলাকা হতে ভুক্তভোগীকে অপহরণের সিদ্ধান্ত নেয়। ভুক্তভোগীর বর্তমান গাড়ি চালকের সাথে গ্রেফতারকৃত হাফিজের সুসম্পর্ক থাকায় ভুক্তভোগীর অবস্থান গাড়ি চালক থেকে জেনে গ্রেফতারকৃত মাসুদকে জানায়।

গ্রেফতারকৃতরা মাসুদ বিগত ২৫ বছর যাবৎ পেশায় একজন গাড়ি চালক। সে ইতিপূর্বে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরণের ভারী যানবাহন চালাতো। পরবর্তীতে বাস চালানোর সময় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েক জনের নিহতের ঘটনায় তার নামে মামলা হলে তার ভারীযান চালানোর লাইসেন্সটি বাতিল হয়। এছাড়াও সে গাড়ি চুরিসহ এলাকায় বিভিন্ন ধরণের অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল বলে জানা যায়।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ডিএমপির নভেম্বর-২০২৪ মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন যারা

নারী কমিশনার’কে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় মূলহোতা মাসুদসহ জড়িত ২ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

মাসুদ রানা,সিনিয়র রিপোর্টারঃ গত ১৭ আগস্ট ২০২৩ইং রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর একজন নারী যুগ্ন কর কমিশনার রাজধানীর মগবাজার এলাকায় কতিপয় দুর্বৃত্ত কর্তৃক অপহৃত হন। পরবর্তীতে অপহরণের ১৮ ঘন্টা পর ১৮ আগস্ট ২০২৩ তারিখ রাজধানীর মাদারটেক এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিম তার সাবেক গাড়ি চালক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।যার মামলা নং ২০/১৭৩, তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২৩। উক্ত ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।র‍্যাব উক্ত অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-৩ এর যৌথ আভিযানিক দল গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি মোঃ মাসুম মাসুদ (৪২)তার ২ সহযোগী মোঃ আব্দুল জলিল পনু (৪৮)মোঃ হাফিজ শাহনি (৪৮)ঢাকা’দেরকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বর্ণিত অপহরণের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।

দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গনমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন,গ্রেফতারকৃত মাসুদ পূর্বে ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিল। গত ১ আগস্ট ২০২৩ তারিখ ব্যক্তিগত শৃঙ্খলাজনিত কারণে ভুক্তভোগী তাকে চাকুরী হতে অব্যাহতি দেন।ফলে গ্রেফতারকৃত মাসুদের মধ্যে ভুক্তভোগীর প্রতি ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও আক্রশের সৃষ্টি হয়। গ্রেফতারকৃত মাসুদ জানায়, তাকে চাকুরী হতে অব্যাহতি দেয়ায় ভুক্তভোগীর প্রথম স্বামী হারুন অর রশিদ তার সাথে যোগাযোগ করে এবং ভ্ক্তুভোগীকে উচিত শিক্ষা দিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গ্রেফতারকৃত মাসুদকে বিপুল পরিমান অর্থ ও উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখায়।

পরবর্তীতে গত ১৫ আগস্ট ২০২৩ তারিখ রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় গ্রেফতারকৃত মাসুদ তার সহযোগী হাফিজ, পনু, রাজু, সাব্বির, সাইফুল ও শান্ত’কে পরিকল্পনার কথা জানায় ও সবাইকে প্রদানকৃত টাকা বণ্টন করে দেয়। তারা রাজধানীর বেইলী রোড এলাকা হতে ভুক্তভোগীকে অপহরণের সিদ্ধান্ত নেয়। ভুক্তভোগীর বর্তমান গাড়ি চালকের সাথে গ্রেফতারকৃত হাফিজের সুসম্পর্ক থাকায় ভুক্তভোগীর অবস্থান গাড়ি চালক থেকে জেনে গ্রেফতারকৃত মাসুদকে জানায়।

গ্রেফতারকৃতরা মাসুদ বিগত ২৫ বছর যাবৎ পেশায় একজন গাড়ি চালক। সে ইতিপূর্বে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরণের ভারী যানবাহন চালাতো। পরবর্তীতে বাস চালানোর সময় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েক জনের নিহতের ঘটনায় তার নামে মামলা হলে তার ভারীযান চালানোর লাইসেন্সটি বাতিল হয়। এছাড়াও সে গাড়ি চুরিসহ এলাকায় বিভিন্ন ধরণের অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল বলে জানা যায়।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।