সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃবাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন (বিএলএফ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুব কমিটির উদ্যোগে, আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, ঈদুল ফিতরের পূর্বে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস প্রদান, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সাথে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি সমন্বয়, শ্রমিক বৈষম্য দূর করা, নিয়োগপত্র প্রদান, শ্রমিক রেশন কার্ড চালু এবং শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (২০শে মার্চ ২০২৩ইং) তারিখ রাত ৮:০০ ঘটিকায় নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন নাসিরাবাদ ওমরগণি প্লাজায় সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে এসব কর্মসূচি পালন করেন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন (বিএলএফ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুব কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন (বিএলএফ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুব কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আমির হোসেনের সভাপতিত্ব এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সোবহান সুমনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন (বিএল এফ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন বিএলএফ’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার ভূঁইয়া,বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন বিএলএফ চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.মাঈন উদ্দিন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো.ফারুক হোসেন,চট্টগ্রাম পিকআপ সিএনজি টেম্পু ও পণ্য পরিবহন মালিক চালক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন (বিএলএফ) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শ্রম আদালত-২ এর সদস্য আবু আহমেদ মিয়া।
প্রধান বক্তা, আবু আহমেদ মিয়া বলেন, বছরের ১১ মাস মালিকের জন্য শ্রম দিলেও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদেরকে রোজার মাসে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। রোজা এলেই ছাঁটাই আতঙ্কে থাকেন বিভিন্ন পেশার শ্রমিকরা। বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকার সম্প্রতি শ্রম আইন সংশোধন করলেও আইনের বিধানাবলী সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, এর বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা এখনো দেখি বিনা নোটিশে আমাদের শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে শ্রমিকদের হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। এ অবস্থায় চলতে থাকলে সরকার যে উদ্দেশ্যে শ্রম আইন সংশোধন করেছে, তা বাস্তবায়ন হবে না। এতে করে শ্রম বাজারে অস্থিরতা লেগেই থাকবে। তাই মালিক পক্ষ থেকে শুরু করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোকে শ্রম আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সঠিক তদারকি প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
প্রতিবাদ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন (বিএলএফ) চট্টগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম- সম্পাদক সামসুল ইসলাম আরজু, ইয়াসিন মিয়াজী, কাজী জাহাঙ্গীর, জিয়া উদ্দিন রানা, মিজানুর রহমান, মাইন উদ্দিন তাপস, জাকির হোসেন, বেলায়েত হোসেন, শফিক, গোলাম শাহরিয়ার, আতাউল গণি উসমান ও সোহাগ প্রমুখ।