ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন মধুপুরে ড্রাগন, কলা,আনারস ও পেঁপে চাষীর নিকট চাঁদা দাবী বাকেরগঞ্জে কাঁচা রাস্তা পাকা করার লক্ষে ছাত্র জনতার মানববন্ধন সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে অভিনব পন্থায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অবৈধ সম্পদ অর্জন বিএনপি নেতা লেয়াকত আলী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা হেলাল খানের নেতৃত্বে শহিদ মিনারে শিল্পী-কলাকুশলীরা রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জরুরি নির্দেশনা! হাটহাজারী দক্ষিণ মাদার্শা এলাকায় জবরদখল ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা

পদত্যাগ না করাই চবি উপাচার্যের বাসভবনে তালা

  • আপডেট সময় : ১১:০১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ২০৪১ বার পড়া হয়েছে

 

চবি প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি জানিয়ে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে আল্টিমেটামের সময় অতিক্রম হয়ে গেলেও পদত্যাগ করেননি চবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের দায়িত্বরত অন্যান্য কর্মকর্তারা। ফলে পদত্যাগে বাধ্য করতে বিকাল সোয়া ৪টায় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের বাসভবনে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ( সাড়ে ৫টা) উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলানো রয়েছে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করে। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরব ছিলো। আমাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারেন নাই। এ ছাড়া গত ১৯ জুলাই সারাদেশে অস্থিতিশীলতার মধ্যেই জোর করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরকে হল থেকে বের করে দেয়। এমন শিক্ষার্থী বান্ধববিহীন প্রশাসনের নৈতিক অধিকার নেই আর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করার। উপাচার্য স্যার যতক্ষণ পর্যন্ত পদত্যাগ করবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসন) ও প্রক্টরিয়াল বডিকে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়। পরে আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগসহ আরও ৪ দফা দাবি পেশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
১. ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংসভাবে হামলার ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডি, সকল হল প্রভোস্ট, ভিসি এবং প্রো-ভিসি (অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক) কে আজ দুপুর ১২ টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।

২. নতুন প্রশাসন নিয়োগের ক্ষেত্রে চিহ্নিত দালাল (সন্ত্রাস ও স্বৈরাচারের সহযোগী, দুর্নিতিবাজ, অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃতদেরদের) পদায়ন করা যাবে না। এক্ষেত্রে আমাদের মতামতের ভিত্তিতে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। গত দুই বছরে অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃত (অস্থায়ী) সকল নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

৩. দ্রুত হল খুলে দিয়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে নতুন করে অনলাইনে ফরম দিতে হবে। পূর্বের সংগ্রহিত ফরম বাতিল বলে গণ্য হবে।

৪. অছাত্র, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা (তাদের তালিকা আমাদের নিকট সংগৃহিত আছে) আবাসিক হলে থাকতে পারেব না।

৫. নতুন প্রশাসনকে আগামী ৪ মাসের মধ্যে চাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল দাবী শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

পদত্যাগ না করাই চবি উপাচার্যের বাসভবনে তালা

আপডেট সময় : ১১:০১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪

 

চবি প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি জানিয়ে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে আল্টিমেটামের সময় অতিক্রম হয়ে গেলেও পদত্যাগ করেননি চবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের দায়িত্বরত অন্যান্য কর্মকর্তারা। ফলে পদত্যাগে বাধ্য করতে বিকাল সোয়া ৪টায় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের বাসভবনে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ( সাড়ে ৫টা) উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলানো রয়েছে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করে। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরব ছিলো। আমাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারেন নাই। এ ছাড়া গত ১৯ জুলাই সারাদেশে অস্থিতিশীলতার মধ্যেই জোর করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরকে হল থেকে বের করে দেয়। এমন শিক্ষার্থী বান্ধববিহীন প্রশাসনের নৈতিক অধিকার নেই আর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করার। উপাচার্য স্যার যতক্ষণ পর্যন্ত পদত্যাগ করবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসন) ও প্রক্টরিয়াল বডিকে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়। পরে আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগসহ আরও ৪ দফা দাবি পেশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
১. ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংসভাবে হামলার ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডি, সকল হল প্রভোস্ট, ভিসি এবং প্রো-ভিসি (অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক) কে আজ দুপুর ১২ টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।

২. নতুন প্রশাসন নিয়োগের ক্ষেত্রে চিহ্নিত দালাল (সন্ত্রাস ও স্বৈরাচারের সহযোগী, দুর্নিতিবাজ, অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃতদেরদের) পদায়ন করা যাবে না। এক্ষেত্রে আমাদের মতামতের ভিত্তিতে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। গত দুই বছরে অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃত (অস্থায়ী) সকল নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

৩. দ্রুত হল খুলে দিয়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে নতুন করে অনলাইনে ফরম দিতে হবে। পূর্বের সংগ্রহিত ফরম বাতিল বলে গণ্য হবে।

৪. অছাত্র, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা (তাদের তালিকা আমাদের নিকট সংগৃহিত আছে) আবাসিক হলে থাকতে পারেব না।

৫. নতুন প্রশাসনকে আগামী ৪ মাসের মধ্যে চাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল দাবী শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করা হবে।