সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) প্রকল্পের এক হাজার ১৮৭টি পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ রয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রণালয় তা মানছে না বলেও অভিযোগ তুলেন তারা।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (সাগর-রুনি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের নেতারা।
আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে শিক্ষাভবন চত্বরে লাগাতার শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল হাকিম বলেন, সেসিপের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত না হলে আগামী বছরের ১ জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।
সেসিপ কর্মকর্তারা আরও বলেন, এডিবি ও সরকারের যৌথ অর্থায়নে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত সেসিপ প্রকল্প ও ২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেসডিপ সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ থেকে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম সেসিপ বাস্তবায়িত হচ্ছে যা ৬ বার বৃদ্ধি পেয়ে ডিসেম্বর, ২০২৩ সালে সমাপ্ত হবে।
তারা আরও বলেন, এর কর্মরত কর্মকর্তারা বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কারিকুলাম বাস্তবায়ন, হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার, আইসিটিভিত্তিক শিক্ষার প্রসার, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ, স্কুল-মাদ্রাসা মনিটরিং ও নিবিড় একাডেমিক সুপারভিশন, মাউশি অধিদপ্তরের এন আইএস সেল শক্তিশালীকরণ ও সফটওয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধান, সাধারণ শিক্ষা ধারার সাথে চালু করা ভোকেশনাল ট্রেড কোর্স বাস্তবায়নে মনিটরিং, নকল মুক্ত পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনে ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন, জাতীয় নির্বাচনসহ সকল পর্যায়ের নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন, বিজ্ঞান ও উন্নয়ন মেলা আয়োজন, বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের বিভিন্ন ইভেন্ট পরিচালনা, শিক্ষকগণের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ আয়োজনসহ প্রশিক্ষণে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
তারা আরও বলেন, সেসিপে কর্মরত জনবল নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্থানীয় ও বৈদেশিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হিসেবে গড়ে উঠেছে। যার ফলে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের মাধ্যমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে যা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণা ও জরিপে দৃশ্যমান।
সেসিপের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমাদের চাকুরি চলে গেলে আমাদের আর কোথাও চাকুরি পাওয়া সম্ভব না। আমাদের চাকুরি পাওয়ার মত আর বয়স নেই।মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দিকে দৃষ্টি দিবে বলে আশাবাদী আমরা। এসময় শিক্ষামন্ত্রী ড.দিপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর হস্তক্ষেপ ও চান সংগঠনের নেতারা।