
নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতার দাপটের কাছে অসহায় হয়ে পরছে বাবা ছেলে বারবার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার সুষ্ঠ ও ন্যায় বিচার পাচ্ছে না ভূক্তভুগী পরিবার। প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর শিকার করার অভিযোগ উঠেছে ভুক্তভুগি পরিবারকে। ক্ষমতার দাপটে আরিফ ফিলিং ষ্টেশন এর যৌথ মালিকানা থাকা অংশীদারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন অপর মালিক পক্ষ ।
৫ আগস্টের পেক্ষাপট পরিবর্তনের পর থেকে হারুন বেপারীর মেয়ে পপি,ম্যনেজার সাবেক ছাত্রদল নেতা সজিব মাঝী ও তুহিন মিলে আরিফ ফিলিং স্টেশন দখল করে ভোগ করতেছে। প্রকৃত অংশীদারদের ধারে কাছে যেতে দিচ্ছে না। অভিযোগ আছে আ’লীগের আমলে তুহিন আ‘লীগের ডামি প্রার্থী হিসাবে হাসানাত আব্দুল্লাহর সাথে নির্বাচন করে।
অভিযোগ উঠেছে মালিক পক্ষের একাংশ হারুনের মেয়ে পপি নেতৃত্বে ম্যানেজার সাবেক ছাত্রদল নেতা সজিব মাঝী, ও তুহিন মিলে অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। বাকী মালিকদের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে তাহারা ভয়ভীতি দেখিয়ে লাভ্যংশ আত্নসাত করতেছে।
ঢাকা বরিশাল মহাসড়ক সংলগ্ন কটকস্থল নামক স্থানে আরিফ ফিলিং ষ্টেশন তিন জন যৌথ পাটনারে ব্যবসা শুরু করে তিন ব্যবসায়ী হারুন বেপারি, ফরহাদ হোসেন ও বীরমুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান মাঝি।
মুজিবুর মাঝী ও তার ছেলে মানিক মাঝীদের নিজ জমিতে থাকা আরিফ ফিলিং স্টেশন ষত্বেও ধারে কাছে যেতে পারছেন না দুই অংশের মালিক কেউই। কথিত বিএনপি নেতা তুহিন ও সাবেক ছাত্রদল নেতা সজিব মাঝি ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে পপির সাথে মিলেমিশে ভোগ দখল করিতেছে। তাদের কাছে হিসাব চাইলে পড়তে হচ্ছে রোষানলে দেওয়া হচ্ছে মিথ্যা মামলা।
দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে তারা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হলে মোঃ ফরহাদ হোসেন তার অংশ মানিক মাঝির কাছে ১১জুলাই ২০২১সালে ৬ আনা অংশে বিক্রি করে দেয়। যাহার একটি তিনশত টাকার ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে নোটারী করে বিক্রি করে।
২০২৩ ও ২৪ সালে ফিলিং স্টেশনের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য হীরা মাঝির কাছ থেকে নগদ চল্লিশ লক্ষ টাকা নেয় হারুন বেপারী,ও পপি যার একটি চুক্তি পত্র আছে।টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করে প্রতি মাসে ২৪হাজার লাভ্যংশ দেওয়া শর্তে। সেই টাকা না দিয়ে তাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে মিথ্যা মামলা হামলায় জড়িয়ে।
অভিযোগ আছে হারুন বেপারীর বিরুদ্ধে জাল দলিল করে ফিলিং স্টেশন করার। এ নিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কয়েকবার সমাধানের জন্য বসলে হারুন বেপারী সব কিছু শিকার করলেও তার মেয়ের দাবি আমার বাবা অসুস্থ মানসিক রুগী।
আরিফ ফিলিং ষ্টেশন মালিক মজিবর রহমান মাঝী বলেন আরিফ ফিলিং ষ্টেশন এরিয়াতে আমার জমি থাকার কারনে ফরহাদ হোসেন ও হারুন বেপারী আমকে ১৬ অংশের ৪ অংশ দিয়ে মালিকানা করেছে। আমি সেই সূত্রে মালিক হওয়া সত্বেও এখন হারুনের মেয়ে পপি,ম্যানেজার সজিব মাঝী ও তুহিন মিলে ফিলিং ষ্টেশন দখল করে রেখেছে।আমার ছেলের কাছ থেকে নিয়ে তৈল কিনে ব্যবসা করেছে এখন তারা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বিভীন্নভাবে হয়রানি করতেছে। আমাদের কোন লাভ্যংশ দিচ্ছে না।আমরা সুষ্ঠ প্রতিকার চাই।
আরিফ ফিলিং ষ্টেশনের আরেক মালিক মানিক জানান আমি ফরহাদ হোসেনের কাছ থেকে তার অংশ ক্রয় করি দীর্ঘদিন আগে এখন এখন হারুনের মেয়ে পপি,ম্যানেজার সজিব মাঝী ও তুহিন মিলে আমাকে বলে আমি যার কাছ থেকে টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি তার কাছ থেকে যেন বুঝে নেই। আমার বাবা মুজিবর রহমান মাঝী জমির মালিক সূত্রে ফিলিং ষ্টেশনের মালিক হয়েছে তাকে ও তারা ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আঃগনি বলেন আমদের সমূক্ষ্যেদ্বয়ে সব কিছুর ষ্ট্যাম্পে লিখিত হয়েছে এবং আমার সামনে বসে পেট্রোল পাম্প চালানোর জন্য হীরার কাছ থেকে পপি,ম্যানেজার সজিব মাঝী,হারুন বেপারী নগদ টাকা নিছে যেটা নিয়ে এখন ঝামেলা করতেছে।
আর ওই পেট্রোল পাম্পের মালিক মানিক মাঝী তার বাবা মুজিবুর মাঝী তাদেরকে পাম্পের কাছে যেতে দিচ্ছে না। তারা এখন ক্ষমতার বলে দখল করে রাখছে।এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বসা হয়েছে হীরা মাঝির টাকা দেওয়ার কথা হলেও টাকা না দিয়ে কাল ক্ষেপন করে এখন মিথ্যা মামলা হামলার ভয় দেখাচ্ছে।
উক্ত মালিকানার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মালিক ফরহাদ হোসেন বলেন যখন আরিফ ফিলিং স্টেশনের কাজ শুরু করি তখন মুজিবর রহমান মাঝীর জমি থাকার কারনে আমি ও হারুন বেপারি ১৬ অংশের ৪ অংশ দিয়ে মুজিবুর রহমান মাঝীকে মালিকানা করি।তার কিছু দিন পর আমার অংশ আমি মানিক মাঝীর কাছে বিক্রি করে দেই।
সেই মূলে বাবা ছেলে ১৬ অংশের ১০ অংশ মালিকানা হয়। দেশের পেক্ষাপট পরিবর্তনের পরে ৫ আগস্টের পর হারুনের মেয়ে পপি ও ম্যানেজার সজিব ও তুহিন মিলে ক্ষতার দাপটে নিয়মের তোয়াক্ষা না করে মুজিবুর রহমান মাঝী ও মানিক মাঝী পরিবারকে ধারে কাছে চাপতে দিচ্ছে না যেটা তারা অন্যায় করতেছে।সেখানে থাকা ম্যানেজার সজিব মাঝির বিএনপি নেতা পরিচয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেতেছে।
ফিলং স্টেশন দখল করে ব্যবসার বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজার সজিব মাঝি বলেন মুল মালিককে না জানিয়ে ফরহাদ হোসেনের অংশ বিক্রি করে দিয়েছে এটা অন্যায় করেছে।হীরা মাঝির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্বত্বতা শিকার করে বলেন টাকা নিয়েছে তার টাকা ফেরত দেওয়া হবে এই সপ্তাহের মাঝে। আর মালিকানা বিষয়ে তারা যাকে টাকা দিছে তার কাছ থেকে টাকা নিবে। মামলাদিয়ে হয়রানীর বিষয়ে বলেন তাদের নামে একাধিক না একটি চুরির মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইউনুচ মিয়া বলেন আমার কাছে আসছিল তাদের বলে দিয়েছি এটা একটা দেওয়ানী বিষয় আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হছে।
উক্ত বিষয় জানতে হারুন বেপারীর মেয়ে সুমাইয়া পপির ব্যবহৃত মূঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উক্ত বিষয় জানতে তুহিনের সাথে ব্যবহারিত মূঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।