মোঃ বশির আহাম্মেদ:- বাকেরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান২০২৩ বাস্তবায়ন উপলক্ষে বিভিন্ন ইউনিয়নে জনসচেতনতা মূলক মতবিনিময় সভা ও জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে।উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ ও সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। উপজেলার দূর্গাপাশা ইউনিয়নে দূর্গাপাশা ইউনিয়ন পরিষদে, দুধল ইউনিয়নের, গোমা, সৎরাজ, চাট্রা, শর্শী, কবাই ইউনিয়নে শিয়ালঘূনী বাজার,ইটখোলা বাজার, মোল্লার বাজার, হানুয়া বাজার, ভরপাশা ইউনিয়নপর দুধল মৌ, লক্ষিপাশা, কলসকাঠী ইউনিয়নে মঈন খালী ও সাদীশ, গারুরিয়া ইউনিয়ন, চরমদ্দি, চরাদি, ফরিদপুর, নলুয়া নেয়ামতি ইউনিয়নের একাধিক স্থানে জেলে ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাঝে মতবিনিময় সভা করেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য সহ মৎস্য অফিসের কাওসার আহমেদ এবং মৎস্য জীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সন্মানিত ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন । এ সময় ইলিশ প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান -২০২৩ সফল করতে ১২ ই অক্টোবর থেকে ২ই নভেম্বর পর্যন্ত সরকার ঘোষিত এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করন, ক্রয় – বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ এগুলো বলেন। এ আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা সহ উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। এই বিষয় জন সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি মৎস্য উন্নয়ন ও সংরক্ষণে কিভাবে ভূমিকা রাখা সম্ভব সে সকল বিষয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান যাতে করে জেলেরা মৎস্য শিকারে উদ্বুদ্ধ না হয় সেই জন্য সকল জেলেকে সরকার কর্তৃক বিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়েছে, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কেউ যদি নদীতে মা-মাছ স্বীকার করতে নামে তাদেরকে প্রতিহত করার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি।
সংবাদ শিরোনাম ::