
নিজস্ব প্রতিবেদক :- বাকেরগঞ্জ উপজেলায় বরিশাল বরগুনা আঞ্চলিক সড়কের পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাট বাজার, সরকারি হাসপাতালসহ বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসা বর্জ্যসহ পৌর কর্তৃপক্ষের বর্জ্য রাস্তার উপরে ফেলা হচ্ছে। এসব বর্জ্য রাস্তার উপরেই জমে থাকছে বছরের পর বছর ধরে।
পৌর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ড সহ রঙ্গশ্রী, পাদ্রীশিবপুর,নিয়ামতি ইউনিয়নের যেতে সড়কটি ব্যবহার করে এলাকাবাসী। এছাড়াও এই সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বসত-বাড়ি, বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার সহ শিক্ষা, সংস্কৃতিক-সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকায় বছরের পর বছর ধরে পৌর কর্তৃপক্ষের ময়লা ফেলা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে এলাকায় টিকতে পারছে না এলাকার লোকজন। অনেকে বাসা ছেড়ে চলে গেছে অন্যত্র।
দীর্ঘ এলাকাজুড়ে ময়লা ফেলার কারণে এলাকাটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ময়লার দুর্গন্ধে সড়কটি দিয়ে হাঁটাচলা করতে দুর্ভোগে পড়ছে এলাকাবাসী। ছোট ছোট শিশুরা স্কুল-কলেজে যেতে নাকে-মুখে হাত দিয়ে পথ চলছে। গত কয়েক বছর ধরে জমানো ময়লা-আবর্জনা স্তূপ হয়ে পড়ে আছে।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ডাম্পিং করার ব্যবস্থা এখনো করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পৌরবাসী। এর মধ্যেই বেড়েছে এডিসসহ সব মশার প্রজনন। মশার উৎপাতে নাজেহাল পৌর এলাকার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাকেরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড বিআইপি ক্লিনিক সংলগ্ন বাকেরগঞ্জ বরগুনা সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু বেসরকারি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের বর্জ্য বাকেরগঞ্জ বরগুনা আঞ্চলিক সড়কের উত্তর পাশে আবাসিক এলাকায় সাধারণ বর্জ্যরে মত কোনো সুরক্ষা ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ ফেলা হচ্ছে যেখানে সেখানে। এমনকি পৌরসভার বর্জ্য একই স্থানে ফেলা হচ্ছে। ইঞ্জেকশনের সূচ, জীবাণুযুক্ত তুলো, ব্যান্ডেজ বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সমস্ত পচে গলে মিশে যাচ্ছে বাস স্ট্যান্ড পৌর কাঁচা বাজারের ফেলে দেওয়া সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ মশা নিধন ঔষধ স্প্রে করা সহ অবিলম্বে দূষণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিতে পারলে এই এলাকা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত সহ দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা হলে বাস স্ট্যান্ড ডিজিটাল ক্লিনিক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন এর সাথে তিনি জানান, প্রতি মাসে আমাদের ক্লিনিক থেকে চার হাজার টাকা ও আমাদের হোটেল থেকে এক হাজার টাকা পৌর কর্তৃপক্ষকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দিতে হচ্ছে। আমরা আমাদের ক্লিনিকের নির্দিষ্ট ড্রামে বর্জ্য ফেলি। পৌর কর্তৃপক্ষ কোথায় ময়লা ফেলে সেটা তাদের দায়িত্ব। পৌর কর্তৃপক্ষ সেই বর্জ্য কোথায় নিয়ে ফেলে সেটা আমার ভালো জানা নেই।
পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ জানান, পৌরসভা থেকে ময়লা ফালানোর জন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় এইখানে ময়লা ফেলানো হচ্ছে। তবে পৌর এলাকার ময়লা ফালাতে একটি নির্দিষ্ট স্থান করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাচ্ছে।
বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান সকালের সময় কে জানান, এই সকল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে বর্জ্য অপসারণ এর দায়িত্ব পৌর কর্তৃপক্ষের।