
জাহিদুল ইসলাম:- বাকেরগঞ্জ নিয়ামতি ইউনিয়নের কাফিলা গ্রামের চিহ্নিত ভন্ড ও প্রতারক চক্রের মূল হোতা মৃত্যু রহমান খানের ছেলে জলিল খান ও তার সহযোগী ভাই হারুনর রশীদকে গতকাল ১০ই নভেম্বর রাতে বাকেরগঞ্জ পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে গ্রাফতার করছেন বলে থানা সূত্রে নিশ্চিত করেন। এ বিষয় থানা পুলিশ তদন্ত মোস্তফা জানান মৃত্যু সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের ছেলে সৈয়দ ফরিদ উদ্দিনের করা একটা মামলায় ওদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার কালে পুলিশের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করার চেষ্টা চালিয়ে সফল হতে পারেনি এ চক্রটি। খোঁজ নিতে জানা যায় আটককৃত জলিল নিজেকে বিআরটিএর পরিচালক পরিচয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকদের চাকরি ও কাগজপত্র গুছিয়ে দেবার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে নানা অযুহাতে তাদের হয়রানি করে কেটে পরতেন। এমন শতশত লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছেন। আদতে জলিল একজন দালাল চক্রের মূলহোতা, বৈধ কোনো চাকরি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই, বিআরটি এর পরিচালক পরিচয়ে বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও দপ্তরে দালালী ভন্ডামীই ওর পেশা, একে পূঁজি করে নিজেই গড়ে তুলছেন একটা বিশাল সিন্ডিকেট চক্র, তা দিয়ে সমস্ত দেশে চলছে ওর এই প্রতারণা বানিজ্য। এছাড়া এলাকায় রয়েছে ওর একটা ছিচকে সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট এ দিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ সহ মাদকের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ভূমিদস্যুতা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ওর বিরুদ্ধে সারাদেশে বিভিন্ন থানায় ২০ টার বেশি অভিযোগ থাকলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গড়ে উঠছে এ চক্রের কার্যক্রম শুরুতে একাধিক বার জেল খেটালেও পরিবর্তন ঘটেনি উল্টো ছাড়া পেয়ে বেপরোয়া। বর্তামানে ওর কমপক্ষে ২০কোটি টাকার সম্পদ সহ নিজ বাড়িতে কোটি টাকার আলিসান বাড়ি নির্মান চলমান আছে। এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে বাদী সহ সচেতন মহলের পক্ষ থেকে আসামীদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জোর দাবী জানিয়েছেন। একই সাথে দুদকের পক্ষ থেকে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন।