ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচী দৈনিক একাওর সংবাদ পত্রিকার সহ সম্পাদক ও প্রকাশক হলেন প্রতিবাদী সাংবাদিক খান মেহেদী! নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ১০ দফা দাবীতে রেল শ্রমিক দলের সমাবেশ সীতাকুণ্ডের সেই সাব-রেজিস্ট্রার আজও বহাল তবিয়তে, বন্ধ হয়নি ঘুষ লেনদেন লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য, বরগুনা বাসীর কাছে দোয়া চাইলেন মাওলানা শামীম সংবাদ প্রকাশের পরেও বহাল রাজশাহী সড়ক বিভাগের দূর্নীতিবাজ প্রকৌশলী হাকিম বাকেরগঞ্জে যুবককে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা! মামলা হলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ গাজীপুর রাজবাড়ী ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ যমুনা ব্যাংকে লুটের পরিকল্পনায় সাবেক চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ কলেজ প্রশাসন কর্তৃক চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করায় ছাত্রদলের নিন্দা ও প্রতিবাদ

বিপুল পরিমান অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরী চক্রের মূলহোতা সোহেলসহ চক্রের ১০ সদস্য গ্রেফতার

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩
  • ২৩৪২ বার পড়া হয়েছে

আবু জাফরঃ সাম্প্রতিক সময়ে র‍্যাব-৪ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন যাবত আশুলিয়া বলিভদ্র এলাকায় অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি তৈরি করে সাধারন জনগণের নিকট বিক্রয় করে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করার মাধ্যমে প্রতারণামূলকভাবে সরকারকে বিপুল পরিমান রাজস্ব হতে বঞ্চিত করছে। এ প্রেক্ষিতে র‍্যাব-৪ উক্ত প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র‍্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকার আশুলিয়া ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরী চক্রের অন্যতম মুলহোতা মোঃ সোহেল কাজী (৩১)মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ(৪০)মোঃ সোহেল রানা(৩৫)মোঃ সাব্বির হোসেন(২২)মোছাঃ সাবিনা ইয়াছমিন(৩০) মোছাঃ শাহনাজ আক্তার(৩১)কামরুল হাসান (২৬)মোঃ সুমন(২২)বিল্টু(১৯)মোঃ সেন্টু মিয়া(২৫)’কে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৪।

দুপুরে কাওরানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গনমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দাকার আল-মঈন বলেন,চক্রটি প্রায় ২ বছর যাবত ঢাকার আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকায় অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি তৈরী করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়। এভাবে তারা প্রতারণার মাধ্যমে সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত করে আসছিল। চক্রটি মূলত সোহেল কাজী এর মাধ্যমে পরিচালিত হত। অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরি ও বিক্রয়ে অন্যান্যরা সোহেল কাজীর সহযোগি হিসেবে কাজ করত। গ্রেফতারকৃত সোহেল কাজী পূর্বে বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেস এ চাকুরীর সুবাদে সেখান থেকে সে বিভিন্ন রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরীর কাজ রপ্ত করে।

অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প চিহ্নিতকরণ সহজ না হওয়ায় এবং অধিক মুনাফা লাভের আশায় সে নিজ ব্যবস্থাপনায় অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরি ও বিক্রয়ের পরিকল্পনা করে। আশুলিয়াস্থ ‘কনফিডেন্স প্রিন্টিং’ প্রেস এর মালিক ও অন্যান্য কর্মচারীদের সাথে পরিচয়ের সুত্র ধরে সে উল্লেখিত ছাপা খানায় অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প মূদ্রণের কাজ শুরু করে। ‘কনফিডেন্স প্রিন্টিং’ প্রেসে তার অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প মূদ্রণের কাজে নিয়োজিত ছিল গ্রেফতারকৃত সাব্বির, সুমন, কামরুল সেন্টু ও বিল্টু।

অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প মূদ্রণের পর পারফেক্ট মেশিনের মাধ্যমে কাটিং ও ছিদ্রকরণ করা হত। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরা, বনানী, গুলশান, সাভার ও টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে কোর্ট ফি ও অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প সরবরাহ করা হত। বিভিন্ন সময় অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প সরবরাহ করার সুবাদে জাহাঙ্গীর এর সাথে জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরী করতে পারে এমন অনেক ব্যক্তির পরিচয় হয় এবং তারা সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করে। এভাবে তারা ১০-১৫ জনের একটি চক্র গড়ে তুলে। এছাড়াও তার সাথে বিভিন্ন অনুমোদিত ভেন্ডরদের সাথে সু-সম্পর্ক থাকায় সে তাদের নিকট কমমূল্যে অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি সরবরাহ করত। ভেন্ডরগণ এ সকল অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের নিকট বিক্রি করত।

একপর্যায়ে অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরীর চাহিদা বেড়ে গেলে সোহেল কাজী সে এই কাজে স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিনসহ স্ত্রীর বড় ভাই সোহেল রানাকেও সম্পৃক্ত করে। তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন বাসা হতে মালামাল ডেলিভারী ও আর্থিক বিষয় দেখাশুনা করত। প্রিন্টিং প্রেসে অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি মূদ্রণের পর সোহেল রানার বাসায় পারফেক্ট মেশিনের মাধ্যমে কাটিং ও ছিদ্রকরণসহ পরবর্তী ধাপের কার্যক্রম সম্পন্ন করত। এছাড়াও তার একটি নিজস্ব ট্রাক রয়েছে। উক্ত ট্রাকের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মালামাল পরিবহনের আড়ালে সে বিভিন্ন সময় অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প সরবরাহ করত। গ্রেফতারকৃত সোহেল কাজীর বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ থানায় একটি মামলা রয়েছে এবং উক্ত মামলায় সে কারাভোগ করেছে।

গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে ৫০০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৩,৮০,৮৬০টি, ২০০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৬২,০০০টি, ১০০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৯২,২০০টি, ৫০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৬০,৭৬০টি, ২০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৩২,২০০টি, ১০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৪,২১,৯০০টি, ৫ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৯,০০০টি, ৪ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৩৬,৯০০টি, ২ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৫,৬০০টি, পারফেক্ট মেশিন ৩টি ও স্ট্যাম্প তৈরীর প্যাটেন্ট ২০টি। সর্বমোট ২২,০১,৪৫,৮০০/- (বাইশ কোটি এক লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার আটশত) টাকা মূল্যমানের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ১১,০১,৪২০টি ও নগদ ৩০,৭৪৫/- টাকা ও বিপুল পরিমান অন্যান্য সরঞ্জামাদি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি তৈরীর সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।

গ্রেফতারকৃত কামরুল, সুমন, সেন্টু ও বিল্টু উক্ত প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করত। গ্রেফতারকৃতা অধিক মুনাফা লাভের আশায় সাব্বির এর তত্ত¡াবধানে গ্রেফতারকৃত কামরুল, সুমন, সেন্টু ও বিল্টু উক্ত প্রিন্টিং প্রেসে অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি মূদ্রণের কার্যক্রম করত বলে জানা যায়।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইলে সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচী

বিপুল পরিমান অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরী চক্রের মূলহোতা সোহেলসহ চক্রের ১০ সদস্য গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৬:২৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

আবু জাফরঃ সাম্প্রতিক সময়ে র‍্যাব-৪ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন যাবত আশুলিয়া বলিভদ্র এলাকায় অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি তৈরি করে সাধারন জনগণের নিকট বিক্রয় করে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করার মাধ্যমে প্রতারণামূলকভাবে সরকারকে বিপুল পরিমান রাজস্ব হতে বঞ্চিত করছে। এ প্রেক্ষিতে র‍্যাব-৪ উক্ত প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র‍্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকার আশুলিয়া ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরী চক্রের অন্যতম মুলহোতা মোঃ সোহেল কাজী (৩১)মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ(৪০)মোঃ সোহেল রানা(৩৫)মোঃ সাব্বির হোসেন(২২)মোছাঃ সাবিনা ইয়াছমিন(৩০) মোছাঃ শাহনাজ আক্তার(৩১)কামরুল হাসান (২৬)মোঃ সুমন(২২)বিল্টু(১৯)মোঃ সেন্টু মিয়া(২৫)’কে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৪।

দুপুরে কাওরানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গনমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দাকার আল-মঈন বলেন,চক্রটি প্রায় ২ বছর যাবত ঢাকার আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকায় অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি তৈরী করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়। এভাবে তারা প্রতারণার মাধ্যমে সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত করে আসছিল। চক্রটি মূলত সোহেল কাজী এর মাধ্যমে পরিচালিত হত। অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরি ও বিক্রয়ে অন্যান্যরা সোহেল কাজীর সহযোগি হিসেবে কাজ করত। গ্রেফতারকৃত সোহেল কাজী পূর্বে বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেস এ চাকুরীর সুবাদে সেখান থেকে সে বিভিন্ন রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরীর কাজ রপ্ত করে।

অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প চিহ্নিতকরণ সহজ না হওয়ায় এবং অধিক মুনাফা লাভের আশায় সে নিজ ব্যবস্থাপনায় অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরি ও বিক্রয়ের পরিকল্পনা করে। আশুলিয়াস্থ ‘কনফিডেন্স প্রিন্টিং’ প্রেস এর মালিক ও অন্যান্য কর্মচারীদের সাথে পরিচয়ের সুত্র ধরে সে উল্লেখিত ছাপা খানায় অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প মূদ্রণের কাজ শুরু করে। ‘কনফিডেন্স প্রিন্টিং’ প্রেসে তার অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প মূদ্রণের কাজে নিয়োজিত ছিল গ্রেফতারকৃত সাব্বির, সুমন, কামরুল সেন্টু ও বিল্টু।

অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প মূদ্রণের পর পারফেক্ট মেশিনের মাধ্যমে কাটিং ও ছিদ্রকরণ করা হত। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরা, বনানী, গুলশান, সাভার ও টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে কোর্ট ফি ও অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প সরবরাহ করা হত। বিভিন্ন সময় অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প সরবরাহ করার সুবাদে জাহাঙ্গীর এর সাথে জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরী করতে পারে এমন অনেক ব্যক্তির পরিচয় হয় এবং তারা সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করে। এভাবে তারা ১০-১৫ জনের একটি চক্র গড়ে তুলে। এছাড়াও তার সাথে বিভিন্ন অনুমোদিত ভেন্ডরদের সাথে সু-সম্পর্ক থাকায় সে তাদের নিকট কমমূল্যে অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি সরবরাহ করত। ভেন্ডরগণ এ সকল অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের নিকট বিক্রি করত।

একপর্যায়ে অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরীর চাহিদা বেড়ে গেলে সোহেল কাজী সে এই কাজে স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিনসহ স্ত্রীর বড় ভাই সোহেল রানাকেও সম্পৃক্ত করে। তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন বাসা হতে মালামাল ডেলিভারী ও আর্থিক বিষয় দেখাশুনা করত। প্রিন্টিং প্রেসে অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি মূদ্রণের পর সোহেল রানার বাসায় পারফেক্ট মেশিনের মাধ্যমে কাটিং ও ছিদ্রকরণসহ পরবর্তী ধাপের কার্যক্রম সম্পন্ন করত। এছাড়াও তার একটি নিজস্ব ট্রাক রয়েছে। উক্ত ট্রাকের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মালামাল পরিবহনের আড়ালে সে বিভিন্ন সময় অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প সরবরাহ করত। গ্রেফতারকৃত সোহেল কাজীর বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ থানায় একটি মামলা রয়েছে এবং উক্ত মামলায় সে কারাভোগ করেছে।

গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে ৫০০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৩,৮০,৮৬০টি, ২০০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৬২,০০০টি, ১০০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৯২,২০০টি, ৫০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৬০,৭৬০টি, ২০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৩২,২০০টি, ১০ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৪,২১,৯০০টি, ৫ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৯,০০০টি, ৪ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৩৬,৯০০টি, ২ টাকা মূল্যমানের স্ট্যাম্প ৫,৬০০টি, পারফেক্ট মেশিন ৩টি ও স্ট্যাম্প তৈরীর প্যাটেন্ট ২০টি। সর্বমোট ২২,০১,৪৫,৮০০/- (বাইশ কোটি এক লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার আটশত) টাকা মূল্যমানের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ১১,০১,৪২০টি ও নগদ ৩০,৭৪৫/- টাকা ও বিপুল পরিমান অন্যান্য সরঞ্জামাদি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি তৈরীর সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।

গ্রেফতারকৃত কামরুল, সুমন, সেন্টু ও বিল্টু উক্ত প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করত। গ্রেফতারকৃতা অধিক মুনাফা লাভের আশায় সাব্বির এর তত্ত¡াবধানে গ্রেফতারকৃত কামরুল, সুমন, সেন্টু ও বিল্টু উক্ত প্রিন্টিং প্রেসে অবৈধ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি মূদ্রণের কার্যক্রম করত বলে জানা যায়।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।