
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত কয়েক দিন যাবৎ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন দলগুলোর রাজনৈতিক অবরোধ চলছে।এর প্রেক্ষিতে গত ইং ৫ নভেম্বর ২০২৩ ইং সকাল ১১ ঘটিকার সময় সবুজবাগ থানায় সংবাদ আসে যে মানিকদিয় গ্রীন মডেল টাউনের এর ভিতরের শেষ মাথায় খালপাড়ে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ককটেল বিষ্ফোরন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা করছে। অল্প দূরে সবুজবাগ থানার দায়িত্বরত মোবাইল পার্টি সিরা- ৫৩ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে জানা যায় উল্লেখিত ব্যক্তি -মোঃ শামীম মাহমুদ (৩৫) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের ১নং যুগ্ম আহবায়ক এবং তাহার সঙ্গীয় ব্যক্তি হলো বাবু পরবর্তীতে এই সংক্রান্তে সবুজবাগ থানার মামলা নং-৫, তারিখ-০৫ নভেম্বর, ২০২৩, ধারা-৩/৪/৬ বিস্ফোরক উপাদানাবলি আইন ১৯০৮ রুজু হয়। মামলা রুজুর পর উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিশেষ তদন্ত টিম গঠন করা হয়।
বিভিন্ন সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার এজাহার নামীয় আসামী-মোঃ শামীম মাহমুদ (৩৫)ঢাকাকে গত ইং ২১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ সময় অনুমান ১০:১৫ ঘটিকায় মুগদা এলাকা হতে গ্রেফতার করে মামলার অপরাপর আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস,ড. খঃ মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন সময় সরকার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচীতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করে জ্বালাও পোড়াও ও ভাংচুর করে নাশকতা করে আসছে। তার ব্যবহৃত জব্দকৃত মোবাইল বিশ্লেষনে এই ধরনের অসংখ্য নাশকতা মূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতে দেখা যায়। তার নিজ মোবাইলে রক্ষিত ভিডিও তে দেখা যায় যে, গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ইং পল্টন এলাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ চলা কালে সে নিজে ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়।
তার কাছে ককটেলের উৎস জানতে চাইলে সে জানায় যে, গত ইং ২৬ অক্টোবর ২৩ ইং সন্ধ্যা অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ জুয়েল মোবাইলে তাকে বলে যে তুই শনির আখড়া এলাকার দনিয়া ফুটওভার ব্রীজের নিচে গিয়ে মারুফের কাছ থেকে একটি ব্যাগ নিয়ে নয়া পল্টন মসজিদের গলির মাথায় রিয়াজের নিকট বুঝাইয়া দিবি। শামীম তার কথামতো তখনই মটর সাইকেল নিয়ে দনিয়া ফুটওভার ব্রীজের নিচে গিয়ে মারুফের কাছ থেকে একটি ককটেল ভর্তি কাধে ঝুলানো ব্যাগ নিয়ে এসে নয়া পল্টন মসজিদ গলির মাথায় রিয়াজের কাছে দেয়। পরবর্তীতে গত ইং ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ইং শামীম বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি’র মহা সমাবেশে গেলে অনুমান ১২:৩০ ঘটিকার সময় রিয়াজ পুনরায় তাকে কয়েকটি ককটেল সহ একটি কাধ ব্যাগ দেয়।এক পর্যায়ে ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হইলে শামীম ব্যাগ হইতে ৫/৬ টা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নয়া পল্টন মসজিদ গলি দিয়ে চলে যায়।
তিনি আরো জানান তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ২৭ টি মামলা রয়েছে এবং ৪বার কারা বরণ করে আমার পর্যলোচনা করে তার নামে মতিঝিল দেশের বিভিন্ন থানায় মামলার সত্যতা পাওয়া যায়।তার সহযোগী ও ককটেল সরবরাহ কারী মারুফ ও রিয়াজদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।
পরবর্তীতে পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ১(এক) টি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ,১(এক) টি অবিস্ফোরিত ককটেল, যাহাতে টিনের কৌটার গায়ে সাদা কসটেপ পেঁচানো আছে,১(এক) টি পেট্রোল বোমা,২(দুই) টি ২৫০ মি.লি. প্লাষ্টিকের বোতলে ৫০০ মি.লি. পেট্রোল,০১টি নীল রংয়ের মোটর সাইকেল, যাহার রেজিষ্ট্রেশন প্লেটে লেখা আছে ঢাকা মেট্রো-হ, ৫৮-৭৩১৩, ৬) ০১টি লাল রংয়ের হেলমেট উদ্ধার করে জব্দ করে।
পুলিশ জব্দকৃত মটরসাইকেল এর রেজিঃ নাম্বারের সূত্র ধরে জানা যায় মটর সাইকেলের মালিক জনৈক -মোঃ শামীম মাহমুদ (৩৫) গ্রীন মডেল টাউনের প্রবেশ মুখের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচলা করে উল্লেখিত মটর সাইকেল যোগে উক্ত জায়গায় প্রবেশ কারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।আসামী শামীম মাহমুদকে আজ বিজ্ঞ আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।