
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রাম হাটহাজারী থানার মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আশরাফ খানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা জানায়, শিকারপুর এলাকায় মুসলিম -হিন্দু দুই পক্ষের জমি নিয়ে বিরোধ হয়। মুসলিম পরিবার আদালত ১৪৫ জারি করে অন্যদিকে হিন্দু পরিবার হাটহাজারী থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিন্দু পরিবার থেকে টাকা নিয়ে ঐ যায়গায় কাজ করার অনুমতি দেয়।
কুয়াইশ- বুডিশ্চর দুপকুল জাহাঙ্গীর বিল্ডিং এ ভেজাল ঘি এর কারখানা থেকে মাসিক টাকা নেয়ার অভিযোগ আছে। এলাকার মদুনাঘাট বাজারে দুই ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, এই ঘি বিক্রির পর কাস্টমাররা নানান অভিযোগ নিয়ে ঘি ফেরত দেন। নজুমিয়া বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর একই অভিযোগ করে বলেন, পুলিশকে ম্যানেজ করে এই নকল ঘি বাজারে সয়লাব।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন কাপ্তাই রাস্তায় চোরাই কাঠ পাচার বন্ধ থাকলেও মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দায়িত্ব নেয়ার পর কাপ্তাই রাস্তায় আবারো কাঠ পাচারের সিন্ডিকেটরা বেপরোয়াভাবে কাঠ পাচার শুরু করেছে। ইনচার্জ আশরাফ প্রতি গাড়ী থেকে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা নেয়। রাউজানের ক্ষুদ্র তৈল ব্যবসায়ী ছোটন, শিকারপুর আওয়ামীলীগের নেতা জাবেদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা নেয় বলে জানান ভুক্তভোগী জাবেদ। ডিসেম্বরে মাসে গাছের গাড়ী সাথে শক্তি ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা সড়কে দূর্ঘটনা ঘটে।
ঐ কর্মকর্তা মারাত্নক আহত হয় পরে গাছের গাড়ীর মালিক থেকে ৬০০০০ টাকা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তকে ব্যাক্তিকে ৩০০০০ টাকা দিয়ে বাকি টাকা আশরাফ নেন। মাদক ব্যবসায়ী পরিমল থেকে মাসে ৫০০০-৭০০০ টাকা নেন তদন্ত কর্মকর্তা আশরাফ।
যার ফলে মাদকের বিস্তার ছড়িয়ে পড়েছে পুরো মদুনাঘাট, নজুমিয়াহাট, নেয়ামত আলী রোড এলাকায়। আনীত অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বলেন, উপরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অনেক কিছু করতে হয়। এই বিষয়গুলো নিয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি বলেন, বিষয়গুলো আমলে নিলাম প্রমানিত হলে দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।