সম্প্রতি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানায় শহীদ ওয়াজেদ স্মৃতি চত্ত্বরে ও স্বাধীনতার স্মৃতি স্তম্ভে পুস্প মাল্য অর্পনের মধ্য দিয়ে শাহাদাত বার্ষিকীর অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়। বিকালে দক্ষিন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক ও প্রগতিশীল সংগঠন দি পিপল্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উদ্যেগে আয়োজন করা হয় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং মুক্তিযুদ্ধের উজ্জ্বল নক্ষত্র শহীদ আবদুল ওয়াজেদ এর আত্মার মাগফেরাতের উদ্দেশ্যে পবিত্র কোরআন খতম, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল ও প্রাথমিক পর্যায়ে রচনা প্রতিযোগীতা, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এই স্মরণ সভায় উক্ত সংগঠনের কার্যকরী পরিষদের সম্মানিত আহবায়ক সাইফুর রহমান বাহার, কার্যকরী পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টা মন্ডলী, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক নেতা নেতৃবৃন্ধ ও বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোহাম্মদ হাসান। তিনি বলেন শহীদ আবদুল ওয়াজেদ একজন অকুতোভয় সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা যার ভেতরে দেশ প্রেমের অগ্নি স্ফুলিঙ্গ দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছিল স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিজের জীবন আত্ম উৎসর্গ করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে।এই স্মরণসভায় শহীদ পরিবারের সদস্য শহীদ আবদুল ওয়াজেদ এর ভাইপো মোহাম্মদ জাবের, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আবদুল মান্নান বলেন দেশ ও জাতি গড়ার প্রত্যয় নিয়ে শহীদ আবদুল ওয়াজেদ এর ভূমিকা ছিল অপরিসিম।
পরবতীর্তে শহীদ আবদুল ওয়াজেদ এর ছোট বোন মোছাম্মৎ জেবুন্নেছা শহীদ আবদুল ওয়াজেদকে নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন— পরাধীনতার শেকল থেকে এবং পাকিস্থানীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য শহীদ আবদুল ওয়াজেদ সেদিন বোয়ালখালী থানার পাকিস্তানী ও রাজাকারদের হেড কোয়ার্টার আক্রমনের পরিকল্পনা করতে গিয়ে শত্রুর গ্রেনেডের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার সহযোদ্ধারা তাঁকে নিয়ে যেতে চাইলে সে বলে উঠেন তোমরা চলে যাও এবং পরবতীর্তে রাজাকার বাহিনী তাঁকে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলতে বললে সে অপেক্ষা না করে বলে উঠেন জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
পরবতীর্তে চরন্দীপ ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব আনিসুর রহমান বাবর শহীদ আবদুল ওয়াজেদ এর শাহাদাত বার্ষিকী আরো ব্যাপকভাবে করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান।
পরিশেষে, সভার সভাপতি শহীদ আবদুল ওয়াজেদ এর নামে বোয়ালখালী উপজেলায় একটি মেধাবৃত্তি চালু করার জন্য সবার প্রতি আবেদন করেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সালাম ও সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে আলোচনা সমাপ্তি ঘোষনা করেন।