
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ-বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার গোলবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে তার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের অভিযোগে স্হানীয় সংসদ সদস্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ পত্রটি সংসদ সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে ,প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ তার হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে সহযোগিতার অংশীদার করে প্রচার প্রচারণা ছাড়াই এমনকি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক কিংবা বিদ্যালয়ের শিক্ষদের পর্যন্ত না জানিয়ে বিধিবহির্ভূত ভাবে ঐ চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে অবৈধ পন্থায় নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেছেন।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জানা যায় , প্রধান শিক্ষক নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কয়েকবার গোপনে তার পছন্দের লোকদের নিয়ে কমিটি গঠনে ব্যর্থ হন। তিনি স্থানীয় জনসাধারণ কিংবা অভিভাবকদের তোয়াক্কা না করে নিজ ইচ্ছায় অনেক অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করে চলছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান , প্রধান শিক্ষক নিজ ইচ্ছামতো সবকিছু করে থাকেন। কোনো শিক্ষককে টি আর সদস্য করেন বা করবেন তাহা আমরা কিছুই জানিনা।
আমাদের কোনো মতামত পর্যন্ত নেননি তিনি। শুনেছি বর্তমানে নাকি কমিটি গঠনের কাজ চলছে তাহা আমরা কেহ জানিনা।
স্থানীয় অভিভাবকগণ সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন যে ,প্রধান শিক্ষক তার নিজের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য অভিভাবকদের না জানিয়ে চেয়ারম্যানকে নিয়ে ইচ্ছামত কমিটি গঠন করেছেন বলে শুনেছি।
প্রধান শিক্ষক কয়েক বছর যাবৎ একই ভাবে কমিটি গঠন করলে স্থানীয় অভিভাবকদের আপত্তির প্রেক্ষিতে গঠিত কমিটি আলোর মুখ দেখতে পারেনি। ব্যর্থ হয়ে এডহক কমিটি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
একই পন্থায় ২০১৯ সালে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করলে ও স্থানীয় অভিভাবকগণ যশোর শিক্ষা বোর্ডে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগের বিষয়টি বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ড নির্দেশ প্রদান করেন।
তৎকালিন জেলা শিক্ষা অফিসার অভিযোগটি তদন্ত করে কিছু অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ডক্টর বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত ১৯-১০-২০২০ ইং তারিখে প্রধান শিক্ষককে একটি সতর্কীকরণ নোটিশ প্রদান করেন, যাহাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম থেকে প্রধান শিক্ষক বিরত থাকেন।
ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকগন প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম এমনকি বিদ্যালয়ে প্রাত্যহিক সমাবেশ পর্যন্ত তিনি করান না।উল্লেখ্য একটি সুত্র থেকে জানা
যায়,বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘদিন ধরে সহ প্রধান শিক্ষক,২জন অফিস সহকারী, ৩জন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী পদ শুন্য রয়েছে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান জানান, আমি একটি অভিযোগ পত্র পেয়েে বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশীদকে ঐ দিন বিদ্যালয়ে পাওয়া না গেলেও মুঠোফোনে এ বিষয়ে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।