ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লোহাগাড়ার পদুয়ায় এক পরিবারের টিনের বাউন্ডারি ভাংচুরের অভিযোগ ! লোহাগাড়ায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগ সোহরাব হোসেন বুলবুল গ্রেপ্তার বাকেরগঞ্জে ১০ টি চোরাই অটোরিকশা উদ্ধার চোরচক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার প্রায় দুই শতাধিক চোরাই রিক্সার আলামত উদ্ধার বদলগাছীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু  জীনামেজু টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট” এর শিক্ষকদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান   মধুপুরে ঈদের সামনে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে জরিমানা পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাকেরগঞ্জ বাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য নাঈম মৃধা সাভার থেকে গর্ভবতী নারীকে অপহরণের অভিযোগ, নেপথ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী আসলাম পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন  বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন খান অপু! 

ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ১৮২২.৯৮ কোটি টাকা দাবি করে হাইকোর্টে আবেদন দায়ের

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০৯:১৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ৩৩২৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড এর বিরুদ্ধে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন না করার অভিযোগে ২০০৬-০৭ অর্থবছর থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত কর্মরত প্রাক্তন কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ১৯ জন বাদী হয়ে শ্রম আদালত, ঢাকাতে মামলা নম্বর ৬৯১/২০১৪ দায়ের করেন।
মামলা চলমান অবস্থায় ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড মামলাটিকে চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ হাইকোর্টে রীট পিটিশন নম্বর ৫৭৬/২০১৮ দায়ের করে। উক্ত রীট মামলার ১৯ জন প্রতিপক্ষ শ্রমিকদের পক্ষে শ্রম আইনের ২৩৪ এবং ২৪০(৩) ধারা অনুযায়ী হাইকোর্টে ১৪ মে ২০২৫ তারিখে ১৮২২.৯৮ কোটি টাকার দাবি উত্থাপন করে আবেদন দাখিল করেন। উক্ত আবেদনে ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড শ্রমিকদের সাথে চলমান মামলা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ১৮২২.৯৮ কোটি টাকা ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড এর ভারতীয় মূল প্রতিষ্ঠান ম্যারিকো লিমিটেড এ প্রেরণ করতে না পারে, অর্থাৎ ১৮২২.৯৮ কোটি টাকা যেন ভারতে প্রেরণ না করতে পারে সে জন্য উক্ত অর্থ ব্লক করার জন্য আদালতের রুল চেয়ে আবেদন করেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২৩৪ ধারা অনুযায়ী শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন বাধ্যতামূলক হলেও ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০৬-০৭ অর্থবছর থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এই তহবিল গঠন করা থেকে বিরত থাকে। পরবর্তীতে ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে এই তহবিল গঠন শুরু করে।
ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে, বর্তমানে কোম্পানির উল্লেখযোগ্য পণ্যের মধ্যে প্যারাসুট নারিকেল তেল, প্যারাসুট বেলি ফুল, প্যারাসুট এক্সট্রা কেয়ার, প্যারাসুট ন্যাচারাল শ্যাম্পু, সাফোলা এডিবল অয়েল, প্যারাসুট জাস্ট ফর বেবি ও অন্যান্য। শুরুর দিকে কল্লোল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান, কল্লোল ট্রেডার্স লিমিটেড তাদের পণ্যের পরিবেশনার দায়িত্বে ছিল। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ৪ ডিসেম্বর, ম্যারিকো লিমিটেড, ইন্ডিয়া ও Adil & Associates, LLC (AA) এর যৌথ উদ্যোগে Marico Bangladesh Limited (MBL) তাদের ব্যবসায়িক পরিসর বিস্তৃত করে। ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, ম্যারিকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও কায়া স্কিন কেয়ার লিমিটেড সহ ম্যারিকোর বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করেছে।
ম্যারিকো লিমিটেড, ইন্ডিয়া, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ৯০% শেয়ারের মালিক এবং বিগত ১৬ বছরে প্রায় ৩২০০ কোটি টাকা মুনাফা রেমিট করেছে যার মধ্যে ৪১৯.২৯ কোটি টাকা রেমিট যোগ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র ২০২৪-২৫ অর্থবছরেই রেমিট যোগ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ১০৭৭.৬৪ কোটি টাকা, যা ১৬ বছরের মোট রেমিট টাকার প্রায় ৩৪ শতাংশ। এ অবস্থায় মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এবং প্রাক্তন শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো অর্থ বিদেশে রেমিট না করার জন্য আবেদনকারীরা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।
মামলার আবেদনকারীরা জানান, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত রেখে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে স্থানান্তর করার উদ্যোগে মামলায় সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণ উদ্দিগ্ন এবং তারা তাদের দাবীকৃত টাকা আদায়ের ব্যাপারে হাইকোর্ট থেকে ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশাবাদী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লোহাগাড়ার পদুয়ায় এক পরিবারের টিনের বাউন্ডারি ভাংচুরের অভিযোগ !

ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ১৮২২.৯৮ কোটি টাকা দাবি করে হাইকোর্টে আবেদন দায়ের

আপডেট সময় : ০৯:১৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড এর বিরুদ্ধে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন না করার অভিযোগে ২০০৬-০৭ অর্থবছর থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত কর্মরত প্রাক্তন কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ১৯ জন বাদী হয়ে শ্রম আদালত, ঢাকাতে মামলা নম্বর ৬৯১/২০১৪ দায়ের করেন।
মামলা চলমান অবস্থায় ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড মামলাটিকে চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ হাইকোর্টে রীট পিটিশন নম্বর ৫৭৬/২০১৮ দায়ের করে। উক্ত রীট মামলার ১৯ জন প্রতিপক্ষ শ্রমিকদের পক্ষে শ্রম আইনের ২৩৪ এবং ২৪০(৩) ধারা অনুযায়ী হাইকোর্টে ১৪ মে ২০২৫ তারিখে ১৮২২.৯৮ কোটি টাকার দাবি উত্থাপন করে আবেদন দাখিল করেন। উক্ত আবেদনে ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড শ্রমিকদের সাথে চলমান মামলা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ১৮২২.৯৮ কোটি টাকা ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড এর ভারতীয় মূল প্রতিষ্ঠান ম্যারিকো লিমিটেড এ প্রেরণ করতে না পারে, অর্থাৎ ১৮২২.৯৮ কোটি টাকা যেন ভারতে প্রেরণ না করতে পারে সে জন্য উক্ত অর্থ ব্লক করার জন্য আদালতের রুল চেয়ে আবেদন করেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২৩৪ ধারা অনুযায়ী শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন বাধ্যতামূলক হলেও ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০৬-০৭ অর্থবছর থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এই তহবিল গঠন করা থেকে বিরত থাকে। পরবর্তীতে ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে এই তহবিল গঠন শুরু করে।
ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে, বর্তমানে কোম্পানির উল্লেখযোগ্য পণ্যের মধ্যে প্যারাসুট নারিকেল তেল, প্যারাসুট বেলি ফুল, প্যারাসুট এক্সট্রা কেয়ার, প্যারাসুট ন্যাচারাল শ্যাম্পু, সাফোলা এডিবল অয়েল, প্যারাসুট জাস্ট ফর বেবি ও অন্যান্য। শুরুর দিকে কল্লোল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান, কল্লোল ট্রেডার্স লিমিটেড তাদের পণ্যের পরিবেশনার দায়িত্বে ছিল। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ৪ ডিসেম্বর, ম্যারিকো লিমিটেড, ইন্ডিয়া ও Adil & Associates, LLC (AA) এর যৌথ উদ্যোগে Marico Bangladesh Limited (MBL) তাদের ব্যবসায়িক পরিসর বিস্তৃত করে। ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, ম্যারিকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও কায়া স্কিন কেয়ার লিমিটেড সহ ম্যারিকোর বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করেছে।
ম্যারিকো লিমিটেড, ইন্ডিয়া, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ৯০% শেয়ারের মালিক এবং বিগত ১৬ বছরে প্রায় ৩২০০ কোটি টাকা মুনাফা রেমিট করেছে যার মধ্যে ৪১৯.২৯ কোটি টাকা রেমিট যোগ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র ২০২৪-২৫ অর্থবছরেই রেমিট যোগ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ১০৭৭.৬৪ কোটি টাকা, যা ১৬ বছরের মোট রেমিট টাকার প্রায় ৩৪ শতাংশ। এ অবস্থায় মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এবং প্রাক্তন শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো অর্থ বিদেশে রেমিট না করার জন্য আবেদনকারীরা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।
মামলার আবেদনকারীরা জানান, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত রেখে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে স্থানান্তর করার উদ্যোগে মামলায় সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণ উদ্দিগ্ন এবং তারা তাদের দাবীকৃত টাকা আদায়ের ব্যাপারে হাইকোর্ট থেকে ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশাবাদী।