ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দৌলদিয়া নৌ পুলিশ কর্তৃক দেশীয় অস্ত্রসহ নৌকা আটক চাঞ্চল্যকর শাহাদাৎ হত্যা মামলার আসামি জহিরুল’কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-২ জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অত্যাধুনিক রিভলবার ৮০ রাউন্ড কার্তুজসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হান্নানকে গ্রেফতার করেছে:ডিবি ফরিদপুরে বি-৭১ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সহায়তা ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত রাজবাড়ী-২ আসনে নির্বাচন করবেন এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন নানা আয়োজনে অফিসার্স ক্লাবে সরস্বতী পূজা উদযাপন ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল এর বিবৃতি: তাপসী তাবাসসুম উর্মি-কে হয়রানি না করার আহ্বান ফরিদপুরে হাফ ভাড়া দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ”গাড়ির চালকদের অভিমানের সুর যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে ববি হাজ্জাজের নিন্দা

রামপালে লক্ষ টাকা প্রতারণার মূল হোতা মিজানুর রহমান

  • আপডেট সময় : ১১:৩৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৩৩৮৩ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাট প্রতিনিধি:-বাগেরহাটের রামপালে নতুন কৌশলে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে চলেছে মিজানুর রহমান মজনু নামের এক প্রতারক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী আবেদ আলী শেখ বলেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম “রূপসা র‌্যানস লিঃ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং জনাব আবুল কাশেম ও জনাব কামরুজ্জামান কোম্পানির পরিচালক। উল্লেখ্য গত ২২/০৭/২০২৩ তারিখ হতে চট্রগ্রামের জনৈক লিটন আমাদের কোম্পানির পরিচালক জনাব আবুল কাশেমকে জানান রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫০০ (পাঁচ শত) কোটি টাকার ক্রাপ এলুমিনিয়ামের তার এবং কন্টেইনার বিক্রি হবে। বিষয়টি জনাব আবুল কাশেম আমাকে এবং কামরুজ্জামানকে জানান। আমরা সরেজমিনে উক্ত মালামাল দেখার জন্য গত ০১/০৮/২০২৩ইং তারিখে ঢাকা হতে দুপুর ১২টার দিকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে যাই। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় ৩০০ ফুট দূরে গাড়ি থামিয়ে জনৈক লিটন সেখানে রোডের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জনৈক আল-আমিনের সাথে হ্যান্ডশেক করেন এবং কথাবার্তা বলতে থাকেন। এরপর আল-আমিন কাকে যেন ফোন করেন। তারপর আমাদেরকে জানান যে, ওলিউল্লাহ সাহেব গেটে পাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে-চলেন। জানতে চাইলাম ওলিউল্লাহ কে? তখন আলামিন এবং লিটন জানান যে, তিনি (ওলিউল্লাহ) তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ্যাডমিন অফিসার। তারপর গাড়ি গেটের কাছে পৌঁছালে ওলিউল্লাহ গেটে পাসটি আমাদের গাড়ির ড্রাইভারের নিকট দিয়ে দেন। যথারীতি আমরা গেট পাস দেখিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ি। তখন হালকা বৃষ্টি থাকায় আলামিন এবং ওলিউল্লাহ গাড়িতে বসেই আমাদেরকে বিভিন্ন স্থানে স্তÍপ আকারে রাখা ক্রাব এবং এ্যালুমিনিয়ামের তার ও কন্টেইনার দেখান। মালামাল দেখা শেষ করে আমরা ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসি। তখন ওলিউল্লাহ এবং আলামিন আমাদেরকে বলেন, এইসব মালামাল বিক্রির দায়িত্ব জনৈক মিজান সাহেবের। প্রতারকরা বলেন যে, আপনারা মিজান সাহেবের সাথে দামদর ঠিক করেন এবং যাবতীয় টাকা-পয়সা তাকে পরিশোধ করবেন। আমরা এখান থেকে মালামাল ডেলিভারি দেবো।

অভিযোগকারী আবেদ আলী শেখ আরো বলেন, মালামালের দামদর ঠিক করার জন্য সংঘবদ্ধ সক্রিয় সদস্য জনৈক লিটন এবং আলামিন আমাদেরকে নিয়ে মিজানের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। মিজানের বাড়িতে বসে ক্রাবের দাম ৫২০০০/ (বায়ান্ন হাজার) টাকা টন, এ্যালুমিনিয়াম ৭৫০/(সাত শত পঞাশ টাকা প্রতি কেজি ও প্রতি কন্টেইনার ২,২৫০০০/ (দুই লাখ পঁচিশ হাজার) টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর জন্য নগদ ১০০০০/ (দশ হাজার) টাকা বায়না করা হয়। তখন মিজান বলেন, মিয়া ভাই মাল গোছানোর জন্য লেবার লাগিয়ে দেবো? আমি বলি অবশ্যই। মিজান লেবারদের জন্য কিছু টাকা পাঠানোর কথা বলেন। আমি বলছি যে, কোনো অসুবিধা নেই, টাকা যা লাগে পাঠিয়ে দেবো। বিগত (০২/০৮/২০২৩ইং) তারিখে মিজানুর রহমানের সোনালী ব্যাংকের ২৯০৬৬০১০১১১০৯ নং হিসাবে ৯০০০০/- (নব্বই হাজার) টাকা প্রেরণ করি। এছাড়া ০৪/০৮/২০২৩ তারিখে লিটনের মাধ্যমে বিকাশ মারফত-৫০০০০/- (পঞাশ হাজার) টাকা প্রেরণ করি। ০৫/০৮/২০২৩ তারিখে লিটনের মাধ্যমে বিকাশ মারফত-১০০০০০/- (এক লক্ষ) টাকা প্রেরণ করি। ০৬/০৮/২০২৩ তারিখে শেখ ফারদিন ডেয়ারী ফার্ম, জনতা ব্যাংকের হিসাব নং ০১০০২৪১৭১৪৭৭৭-এ ১০,০০০০০/-(দশ লাখ) টাকা প্রেরণ করি। ০৭/০৮/২০২৩ইং তারিখে শেখ ফারদিন ডেয়ারী ফার্ম জনতা ব্যাংকের হিসাব নং ০১০০২৪১৭১৪৭৭৭-এ ৩২,০০০০০/- (বত্রিশ লাখ টাকা এবং ০৭/০৮/২০২৩ তারিখে শেখ ফারদিন ডেয়ারী ফার্ম, জনতা ব্যাংকের হিসাব নং-০১০০২৪১৭১৪৭৭৭-এ-৮,০০০০০/- (আট লাখ) টাকা প্রেরণ করি। মোট ৫২,৫০০০০/-(বায়ান্ন লাখ পঞাশ হাজার) টাকা প্রেরণ করি।

উক্ত অভিযোগকারী উল্লেখ্য করে বলেন, জনৈক লিটন, যিনি এই মালামাল ক্রয়ের বিষয়ে আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন, তিনি এই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, আমরা তাকে বিশ্বাস করার সুবাদে তার দেওয়া তথ্যে আমরা বিশ্বাস করে মিজানের হিসাবে উক্ত ৫২ লাখ টাকা প্রেরণ করি।

এ বিষয়ে আবেদ আলি জানতে চাইলে লিটন জানান যে, মালামাল গোছানো হচ্ছে। গত ০৭/০৮/২০২৩ইং তারিখে লিটন জানান যে, ১০ (দশ) ট্রাক মাল লোড হয়েছে দ্রুত মিজান সাহেবের হিসাবে আরো টাকা পাঠান। ওই দিনই তার তথ্যের ভিত্তিতে ২টি আর টি জি এস-এর মাধ্যমে (৩২,০০০০০+৮,০০০০০) চল্লিশ লাক্ষ টাকা প্রেরণ করি।০৮/০৮/২০২৩ তারিখে ক্রাবের ট্রাক ঢাকা না পৌঁছানোর কারণ জানতে চাইলে মিজান আমাকে জানান যে, মিয়া ভাই ট্রাক আজকে (০৯/০৮/২০২৩) তারিখ মাল যাবে। তারপর ১০/০৮/২০২৩ তারিখেও কোন ট্রাক ঢাকাতে না পৌঁছানোর কারণ জানতে চাইলে মিজানসহ প্রতারকরা পূর্বের একটি পার্টির কথা বলে উল্টাপাল্টা কথা বলে তালবাহানা শুরু করে।

অতঃপর অভিযোগকারী আবেদ আলী শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমি রামপাল থানায় ২১/০৯/২০২৩ইং তারিখে ১নং আসামী মিজানুর রহমান (৪৫) পিতা মোবারফ শেখ, সাং গ্রাম-শ্রীরম্বা, থানা-রামপাল, জেলা বাগেরহাট, ২। জনৈক ওলিউল্লাহ, এ্যাডমিন অফিসার, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ৩। আলামিন, সাং দেওয়াপাড়া, ফকিরহাট, বাগেরহাট এবং ৪। চট্রগ্রামের জনৈক লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করার জন্য লিখিত একটি এজাহার দায়ের করছি আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই থানায় এজাহার করেছি। এই উল্লেখিত ৪জন আসামী একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। উক্ত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আরো একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে, এ বিষয়েও তদন্ত চলমান।

এ বিষয়ে রামপাল থানা পুলিশ ও র‌্যাব জানায়, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে, অপরাধী যেইহোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দৌলদিয়া নৌ পুলিশ কর্তৃক দেশীয় অস্ত্রসহ নৌকা আটক

রামপালে লক্ষ টাকা প্রতারণার মূল হোতা মিজানুর রহমান

আপডেট সময় : ১১:৩৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাগেরহাট প্রতিনিধি:-বাগেরহাটের রামপালে নতুন কৌশলে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে চলেছে মিজানুর রহমান মজনু নামের এক প্রতারক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী আবেদ আলী শেখ বলেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম “রূপসা র‌্যানস লিঃ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং জনাব আবুল কাশেম ও জনাব কামরুজ্জামান কোম্পানির পরিচালক। উল্লেখ্য গত ২২/০৭/২০২৩ তারিখ হতে চট্রগ্রামের জনৈক লিটন আমাদের কোম্পানির পরিচালক জনাব আবুল কাশেমকে জানান রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫০০ (পাঁচ শত) কোটি টাকার ক্রাপ এলুমিনিয়ামের তার এবং কন্টেইনার বিক্রি হবে। বিষয়টি জনাব আবুল কাশেম আমাকে এবং কামরুজ্জামানকে জানান। আমরা সরেজমিনে উক্ত মালামাল দেখার জন্য গত ০১/০৮/২০২৩ইং তারিখে ঢাকা হতে দুপুর ১২টার দিকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে যাই। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় ৩০০ ফুট দূরে গাড়ি থামিয়ে জনৈক লিটন সেখানে রোডের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জনৈক আল-আমিনের সাথে হ্যান্ডশেক করেন এবং কথাবার্তা বলতে থাকেন। এরপর আল-আমিন কাকে যেন ফোন করেন। তারপর আমাদেরকে জানান যে, ওলিউল্লাহ সাহেব গেটে পাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে-চলেন। জানতে চাইলাম ওলিউল্লাহ কে? তখন আলামিন এবং লিটন জানান যে, তিনি (ওলিউল্লাহ) তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ্যাডমিন অফিসার। তারপর গাড়ি গেটের কাছে পৌঁছালে ওলিউল্লাহ গেটে পাসটি আমাদের গাড়ির ড্রাইভারের নিকট দিয়ে দেন। যথারীতি আমরা গেট পাস দেখিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ি। তখন হালকা বৃষ্টি থাকায় আলামিন এবং ওলিউল্লাহ গাড়িতে বসেই আমাদেরকে বিভিন্ন স্থানে স্তÍপ আকারে রাখা ক্রাব এবং এ্যালুমিনিয়ামের তার ও কন্টেইনার দেখান। মালামাল দেখা শেষ করে আমরা ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসি। তখন ওলিউল্লাহ এবং আলামিন আমাদেরকে বলেন, এইসব মালামাল বিক্রির দায়িত্ব জনৈক মিজান সাহেবের। প্রতারকরা বলেন যে, আপনারা মিজান সাহেবের সাথে দামদর ঠিক করেন এবং যাবতীয় টাকা-পয়সা তাকে পরিশোধ করবেন। আমরা এখান থেকে মালামাল ডেলিভারি দেবো।

অভিযোগকারী আবেদ আলী শেখ আরো বলেন, মালামালের দামদর ঠিক করার জন্য সংঘবদ্ধ সক্রিয় সদস্য জনৈক লিটন এবং আলামিন আমাদেরকে নিয়ে মিজানের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। মিজানের বাড়িতে বসে ক্রাবের দাম ৫২০০০/ (বায়ান্ন হাজার) টাকা টন, এ্যালুমিনিয়াম ৭৫০/(সাত শত পঞাশ টাকা প্রতি কেজি ও প্রতি কন্টেইনার ২,২৫০০০/ (দুই লাখ পঁচিশ হাজার) টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর জন্য নগদ ১০০০০/ (দশ হাজার) টাকা বায়না করা হয়। তখন মিজান বলেন, মিয়া ভাই মাল গোছানোর জন্য লেবার লাগিয়ে দেবো? আমি বলি অবশ্যই। মিজান লেবারদের জন্য কিছু টাকা পাঠানোর কথা বলেন। আমি বলছি যে, কোনো অসুবিধা নেই, টাকা যা লাগে পাঠিয়ে দেবো। বিগত (০২/০৮/২০২৩ইং) তারিখে মিজানুর রহমানের সোনালী ব্যাংকের ২৯০৬৬০১০১১১০৯ নং হিসাবে ৯০০০০/- (নব্বই হাজার) টাকা প্রেরণ করি। এছাড়া ০৪/০৮/২০২৩ তারিখে লিটনের মাধ্যমে বিকাশ মারফত-৫০০০০/- (পঞাশ হাজার) টাকা প্রেরণ করি। ০৫/০৮/২০২৩ তারিখে লিটনের মাধ্যমে বিকাশ মারফত-১০০০০০/- (এক লক্ষ) টাকা প্রেরণ করি। ০৬/০৮/২০২৩ তারিখে শেখ ফারদিন ডেয়ারী ফার্ম, জনতা ব্যাংকের হিসাব নং ০১০০২৪১৭১৪৭৭৭-এ ১০,০০০০০/-(দশ লাখ) টাকা প্রেরণ করি। ০৭/০৮/২০২৩ইং তারিখে শেখ ফারদিন ডেয়ারী ফার্ম জনতা ব্যাংকের হিসাব নং ০১০০২৪১৭১৪৭৭৭-এ ৩২,০০০০০/- (বত্রিশ লাখ টাকা এবং ০৭/০৮/২০২৩ তারিখে শেখ ফারদিন ডেয়ারী ফার্ম, জনতা ব্যাংকের হিসাব নং-০১০০২৪১৭১৪৭৭৭-এ-৮,০০০০০/- (আট লাখ) টাকা প্রেরণ করি। মোট ৫২,৫০০০০/-(বায়ান্ন লাখ পঞাশ হাজার) টাকা প্রেরণ করি।

উক্ত অভিযোগকারী উল্লেখ্য করে বলেন, জনৈক লিটন, যিনি এই মালামাল ক্রয়ের বিষয়ে আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন, তিনি এই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, আমরা তাকে বিশ্বাস করার সুবাদে তার দেওয়া তথ্যে আমরা বিশ্বাস করে মিজানের হিসাবে উক্ত ৫২ লাখ টাকা প্রেরণ করি।

এ বিষয়ে আবেদ আলি জানতে চাইলে লিটন জানান যে, মালামাল গোছানো হচ্ছে। গত ০৭/০৮/২০২৩ইং তারিখে লিটন জানান যে, ১০ (দশ) ট্রাক মাল লোড হয়েছে দ্রুত মিজান সাহেবের হিসাবে আরো টাকা পাঠান। ওই দিনই তার তথ্যের ভিত্তিতে ২টি আর টি জি এস-এর মাধ্যমে (৩২,০০০০০+৮,০০০০০) চল্লিশ লাক্ষ টাকা প্রেরণ করি।০৮/০৮/২০২৩ তারিখে ক্রাবের ট্রাক ঢাকা না পৌঁছানোর কারণ জানতে চাইলে মিজান আমাকে জানান যে, মিয়া ভাই ট্রাক আজকে (০৯/০৮/২০২৩) তারিখ মাল যাবে। তারপর ১০/০৮/২০২৩ তারিখেও কোন ট্রাক ঢাকাতে না পৌঁছানোর কারণ জানতে চাইলে মিজানসহ প্রতারকরা পূর্বের একটি পার্টির কথা বলে উল্টাপাল্টা কথা বলে তালবাহানা শুরু করে।

অতঃপর অভিযোগকারী আবেদ আলী শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমি রামপাল থানায় ২১/০৯/২০২৩ইং তারিখে ১নং আসামী মিজানুর রহমান (৪৫) পিতা মোবারফ শেখ, সাং গ্রাম-শ্রীরম্বা, থানা-রামপাল, জেলা বাগেরহাট, ২। জনৈক ওলিউল্লাহ, এ্যাডমিন অফিসার, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ৩। আলামিন, সাং দেওয়াপাড়া, ফকিরহাট, বাগেরহাট এবং ৪। চট্রগ্রামের জনৈক লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করার জন্য লিখিত একটি এজাহার দায়ের করছি আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই থানায় এজাহার করেছি। এই উল্লেখিত ৪জন আসামী একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। উক্ত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আরো একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে, এ বিষয়েও তদন্ত চলমান।

এ বিষয়ে রামপাল থানা পুলিশ ও র‌্যাব জানায়, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে, অপরাধী যেইহোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।