গাজী মাইন উদ্দিনঃ সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন যাবত আইন শৃংখলা বাহিনীর পোষাক, সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছিল। এসব প্রতারক সাধারণ মানুষদের আইন শৃংখলা বাহিনীর ভয়, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তদবীর করা ও চাকরিতে নেওয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে বলে জানা যায়। এ চক্রটি পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারনা করে আসছে। তারা মূলত সমাজের অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত সাধারণ মানুষদের টার্গেট করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই ধরনের প্রতারকদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১ ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১০ জানুয়ারি ২৩ ইং রাজধানীর উত্তরা, এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, ডিএমপি ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আইইউবিএটি ইউনিভার্সিটির গেইট সংলগ্ন, ধউরগামী রোডে পশ্চিম পাশে জনৈক আব্দুর রাজ্জাকের চায়ের দোকানের সামনে অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৫৮)কে গ্রেফতার করে। এসময় ধৃত অভিযুক্তের নিকট হতে প্রতারনার রকাজে ব্যবহৃত ১ টি ওয়াকিটকি সেট, ৪ টি আইডি কার্ড (সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয়) ও ২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
দুপুরে র্যাব-১ এর প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল- মোমেন সাংবাদিকদের জানান,সে কখনও ভুয়া পুলিশ, কখনও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তার পরিচয়, আবার কখনও সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ জনসাধারণের কাছে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘটন করে আসছে। ধৃত আসামী পুলিশ, সেনাবাহিনী ও সাংবাদিক না হয়েও ভূয়া পরিচয়ে প্রতারণা করে সে দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারন মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রতারনাপূর্বক লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে স্বীকার করে। এমনকি তার ফোনের কললিস্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে ও সে কল দিয়ে প্রতারনার চেষ্টা করেছে। উক্ত ধৃত অভিযুক্ত আসামী প্রতারণার সাথে জড়িত আছে মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ।
