বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অর্জনের পাল্লা সুনামের খাতা প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে।পুলিশ জনগণের বন্ধু,জনগণের জানমাল হেফাজতের দায়িত্ব পুলিশের।সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য নিরলস সেবার কাজ করে যাচ্ছেন বাহিনীটি ।করোনাকালীন মহুর্তে নজীর বিহীন মানব সেবা দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সারা বিশ্বব্যাপি সমার্ধিত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকার একটি বাসা থেকে হেনা(১০) নামে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গত ২৭ আগষ্ট শনিবার ভবনের কেয়ারটেকারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ফ্ল্যাট থেকে দশ বছর বয়সি শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন,আমরা জানতে পারি ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করতো আসামি সাথী পারভিন ডলি(৪০)।তার বাসায় গৃহকর্মীর শিশু হেনা তিন বছর যাবত কাজ করতো।
গত শুক্রবার হেনা কে হত্যা করে ফ্ল্যাটে তালা দিয়ে তিনি তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যান।শনিবার সাথী পারভিন বাসায় না ফেরায় কেয়ারটেকার ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়া না পেয়ে বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তারা ভেতরে প্রবেশ করে এবং লাশ উদ্ধার করে। তখন কলাবাগান থানা পুলিশ শিশুটির নাম-পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি।
ভবনের নিরাপত্তা প্রহরী পুলিশকে জানায়, ওই ফ্ল্যাটে শিশুটি গৃহকর্মীর কাজ করত। প্রতিবেশীদের কয়েকজন জানান, হত্যার পর শিশুটির টিকে পেলে পালিয়ে যায় হত্যাকারী সাথী পারভিন ডলি।পরভর্তিতে বাসার বিচানা থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সময় কলাবাগান থানা পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন ।
এই বিষয়ে ডিএমপি কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,গৃহকর্মী হেনা কে হত্যা করে আসামী সাথী পারভিন পালিয়ে যায়, প্রযুক্তির সহযোগিতায় কলাবাগান থানার একটি চৌকস ট্রিম এজেহার নামীয় আসামী সাথী পারভিন ডলি(৪০)কে গত ২ সেপ্টেম্বর ২৩ ইং যশোর কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।