গোসাইরহাট(শরীয়তপুর)প্রতিনিধি:- শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট বাজারে অবস্থিত ২নং দাশের জঙ্গল সরকারি বিদ্যালয়ের জলাবদ্ধ খেলার মাঠ পরিদর্শন করেছেন গোসাইরহাট উপজেলা (সাধারন ওয়ার্ড নং ৬) থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্রাহাম লিংকন। আজ বুধবার সকালে ঐ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে তিনি স্কুল পরিদর্শন করেন। এ সময় মাঠটি সংস্কারে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।
২নংদাশের জঙ্গল সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়টি প্রায় ৪২ শতাংশ জায়গাজুড়ে অবস্থিত; যার মধ্যে খেলার মাঠ এবং এক পরিত্যাক্ত সহ চারটি ভবন রয়েছে। অথচ তিন বছর ধরে মাঠটি ব্যবহার করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। কারণ, মাঠের দুই-তৃতীয়াংশ এখন বৃষ্টির পানি জমে ডোবায় রূপ নিয়েছে। জমে থাকা পানিতে এখন ডেঙ্গু প্রজনন ক্ষেত্র। ভাসছে ময়লা-আবর্জনা। মাঠটি আশপাশের সড়কের তুলনায় নিচু। নেই পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা। ফলে বৃষ্টি পানি ঢুকে মাঠটি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের মাঠের দুরবস্থা নিয়ে গতকাল সোমবার আজকের দর্পন অনলাইনে ‘সামন্য বৃষ্টিতেই, স্কুলের মাঠে পানি : দুর্ভোগ শিক্ষার্থীদের ‘ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিদ্যালয়ের মাঠ পরিদর্শন করেন জেলা পরিষদের সদস্য এ সময় বিদ্যালয়ের সামগ্রিক সমস্যা তুলে ধরেন প্রধান শিক্ষক কহিনুর ইয়াসমিন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯১৯ সালে ৪২ শতাংশ জায়গা নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি পরিত্যক্ত ভবনসহ চারটি ভবন রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪১৬। সহকারী শিক্ষক রয়েছেন ১১জন। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরই সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে থাকে। পিছিয়ে নেই খেলাধুলায়ও। কিন্তু বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠসহ আশপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে আসা-যাওয়া করা যায় না।
এসময় বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেল, শুধু খেলার মাঠ নয়, তিন ভবনের চারপাশ ময়লা-আবর্জনা ও পানিতে ডুবে গেছে। ফলে বিদ্যালয়ের পুরো এলাকা ঘুরে বেড়াতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এসব পানির কারণে মশার উপদ্রব বেড়েছে।