
মো:সাহেদ আহমেদ:-গোসাইরহাট (শরীয়তপুর)প্রতিনিধি।
সরকারি ল্যাপটপ বন্ধক রেখে টাকা ধার নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার ২৭নং দাতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরির বিরুদ্ধে। স্কুলের দপ্তরী সাকিবুল ঢালী ভুগকাঠী গ্রামের হুমায়ুন বেপারীর কাছে ল্যাপটপটি বন্ধক রাখেন। তবে স্কুলে লেপটপ না দেখায় ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় পাওনাদার হুমায়ুন বেপারী কে টাকা পরিশোধ করে লেপটপটি উদ্ধার করে স্কুল কতৃপক্ষ।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৭নং দাতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনলাইনের কাজের জন্য সরকার থেকে ২টি ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। কম্পিউটারের সকল কাজ দপ্তরী সাকিবুল করে থাকে তাই মোট দুইটি ল্যাপটপ তার বাসায় নিয়ে যান। তবে এরমধ্যে একটি এইচপি ব্রান্ডের লেপটপ তিনি বন্ধক রেখে টাকা ধার করেন স্থানীয় একজনের কাছ থেকে। স্কুল কতৃপক্ষ কেউ ল্যাপটপ এর বিষয় অবহিত ছিলেন না। এরই মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায় এইচপি ব্র্যান্ডের ল্যাপটপটি স্থানীয় হুমায়ুন কাছে বন্ধক রাখেন দপ্তরী। হুমায়ুন বেপারী জানান, একটি ব্যাগ সহ লেপটপ নিয়ে আমার কাছে রেখে টাকা ধার চেয়েছে সাকিুল স্কুলের লেপটপ দেখে প্রথমে রাজি হয়নি তারপর অল্প সময়ের ভিতরে টাকা পরিশোধ করে দিবে বলে এইমর্মে অনেক অনুরোধ করলে আমি সাড়ে চার হাজার টাকা সাকিবুলকে দেই এরপরে দুইমাস পর বৃহস্পতিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা টাকা দিয়ে লাপটপটি আমার কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেন। অভিযুক্ত দপ্তরী সাকিবুল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,আমি আমার ব্যাক্তিগত লেপটপ বন্ধক রেখেছি স্কুলের লেপটপ টা আমার বাসায় ছিলো।
এ বিষয়টি এরিয়ে প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানা বলেন, , ‘সব মিটমাট হয়ে গেছে।ল্যাপটপ দপ্তরী সাকিবুলের কাছেই থাকতো তার থেকে ফেরত নিয়ে স্কুলে রাখা হয়েছে।’
গোসাইরহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লূৎফর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।খুঁজখবর নিয়ে বলতে পারবো।