ঢাকা ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদপুরে অবৈধ স্থাপনা বন্ধ করলেন প্রশাসন বরিশালে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আরিফ ফিলিং ষ্টেশন দখল করে ব্যবসা ঘুষ ও নানা অনিয়মের অভিযোগে বাকেরগঞ্জ থানার বিতর্কিত ওসি সফিকুলের বদলি দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট একদিনে ৩ অভিযান কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত পুলিশ সুপারের নির্দেশ: সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন বরিশালে আ.লীগ কর্মীর স্ত্রী স্কুল সভাপতি! সংবর্ধনা দিল প্রধান শিক্ষক !! চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় গর্বের বাকেরগঞ্জের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান ফু-ওয়াং ফুডসের সাবেক এমডি আরিফ আহমেদ চৌধুরীসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৩ বরিশালে প্রশাসন ম্যানেজ করে আবাসিক হোটেলে জমজমাট দেহ ব্যবসা মুক্ত গণমাধ্যম মঞ্চের নির্বাহী কমিটির সভাপতি শিমুল পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক, আব্দুর রহিম, মুখপাত্র আবদুল্লাহ মজুমদার

সিকদার লিটন-তৃপ্তি খানমের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, বিহিত চেয়ে থানায় বোনের জিডি

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ৩১৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: অবৈধ সম্পর্কের জেরে ঢাকার একটি হোটেলে রাত কাটানোর ঘটনায় প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তৃপ্তি খানমের বোন। বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায় তিনি এ জিডি করেন।

অবিবাহিত তৃপ্তি খানমকে কৌশলে পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারক সিকদার লিটন। এর আগেও একাধিক নারীকে ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক করেন ভয়ংকর এই প্রতারক ও মামলা বাণিজ্যের হোতা সিকদার লিটন। বিবাহিত লিটন তৃপ্তি খানমকে নিয়ে ঢাকার নবাবপুরের হোটেল মুস্তারীতে একসঙ্গে রাত্রিযাপন করে। যা এলাকায় জানাজানি হলে শুরু হয় নানান জল্পনা-কল্পনা। অনাত্মীয় এবং সম্পর্কহীন প্রাপ্ত বয়স্ক দু’জন নর-নারীর এই একত্র রাত্রিযাপন নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দেখা দেয় স্থানীয়দের মনে। এই ঘটনার পর বোন ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করলেন তৃপ্তি খানমের বড় বোন।

প্রতারণার মামলায় চারবছর কারাবাস শেষে সিকদার লিটন গত অক্টোবরে জামিনে মুক্ত হন। এরপর সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিদের টার্গেট করে মামলা বাণিজ্য করেছে। এই মামলা বাণিজ্যে তৃপ্তি খানমকে যুক্ত করেন এই প্রতারক। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ফরিদপুরের রাজবাড়ী মোড় থেকে তৃপ্তিকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঢাকায় এসে হোটেল ওঠেন। সেখানেই তারা রাত্রিবাস করেন।

তৃপ্তি খানমের বোন তার জিডিতে লিখেছেন, সিদকার লিটন একজন ভয়ংকর প্রতারক, ষড়যন্ত্রকারী ও ক্ষতিকারক লোক। সে সব সময় এলাকার মানুষকে ক্ষতি করার কাজে লিপ্ত থাকে। সিকদার লিটন আমার বোন তৃপ্তি খানমের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করার পাঁয়তারা করিতেছে। যাতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের মানসম্মান জড়িত। গত ১ মার্চ সিকদার লিটন ও তৃপ্তি খানম কামারগ্রামে আমার বাড়ির আশপাশে এসে আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে এবং জীবননাশের হুমকি দেয়। প্রতারক সিকদার লিটন লোভের বশবর্তী হয়ে আমার বোন তৃপ্তিকে দিয়ে ঢাকার মিরপুরের পিও দেখিয়ে (১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারী) ঢাকার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মিথ্যা সিআর মামলা দায়ের করে। বর্তমানে সিকদার লিটনের চলাফেরা ও কথাবার্তায় আমার ধারণা হয় সে আমাকে বড়ধরণের ক্ষতি ও মানসম্মান নষ্ট করতে পারে। তাছাড়া মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানী করতে পারে। বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডায়েরি করা হলো বলে জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে প্রতারক সিকদার লিটনকে বুধবার দুপুরে ফরিদপুর শহর থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাকে আলফাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এই প্রতারকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলা থাকায় বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এছাড়া লিটনের বিরুদ্ধে ঢাকায় পৃথক দুটি মামলা রয়েছে। যার একটি হত্যা অন্যটি হত্যাচেষ্টার মামলা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে অবৈধ স্থাপনা বন্ধ করলেন প্রশাসন

সিকদার লিটন-তৃপ্তি খানমের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, বিহিত চেয়ে থানায় বোনের জিডি

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: অবৈধ সম্পর্কের জেরে ঢাকার একটি হোটেলে রাত কাটানোর ঘটনায় প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তৃপ্তি খানমের বোন। বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায় তিনি এ জিডি করেন।

অবিবাহিত তৃপ্তি খানমকে কৌশলে পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারক সিকদার লিটন। এর আগেও একাধিক নারীকে ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক করেন ভয়ংকর এই প্রতারক ও মামলা বাণিজ্যের হোতা সিকদার লিটন। বিবাহিত লিটন তৃপ্তি খানমকে নিয়ে ঢাকার নবাবপুরের হোটেল মুস্তারীতে একসঙ্গে রাত্রিযাপন করে। যা এলাকায় জানাজানি হলে শুরু হয় নানান জল্পনা-কল্পনা। অনাত্মীয় এবং সম্পর্কহীন প্রাপ্ত বয়স্ক দু’জন নর-নারীর এই একত্র রাত্রিযাপন নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দেখা দেয় স্থানীয়দের মনে। এই ঘটনার পর বোন ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করলেন তৃপ্তি খানমের বড় বোন।

প্রতারণার মামলায় চারবছর কারাবাস শেষে সিকদার লিটন গত অক্টোবরে জামিনে মুক্ত হন। এরপর সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিদের টার্গেট করে মামলা বাণিজ্য করেছে। এই মামলা বাণিজ্যে তৃপ্তি খানমকে যুক্ত করেন এই প্রতারক। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ফরিদপুরের রাজবাড়ী মোড় থেকে তৃপ্তিকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঢাকায় এসে হোটেল ওঠেন। সেখানেই তারা রাত্রিবাস করেন।

তৃপ্তি খানমের বোন তার জিডিতে লিখেছেন, সিদকার লিটন একজন ভয়ংকর প্রতারক, ষড়যন্ত্রকারী ও ক্ষতিকারক লোক। সে সব সময় এলাকার মানুষকে ক্ষতি করার কাজে লিপ্ত থাকে। সিকদার লিটন আমার বোন তৃপ্তি খানমের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করার পাঁয়তারা করিতেছে। যাতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের মানসম্মান জড়িত। গত ১ মার্চ সিকদার লিটন ও তৃপ্তি খানম কামারগ্রামে আমার বাড়ির আশপাশে এসে আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে এবং জীবননাশের হুমকি দেয়। প্রতারক সিকদার লিটন লোভের বশবর্তী হয়ে আমার বোন তৃপ্তিকে দিয়ে ঢাকার মিরপুরের পিও দেখিয়ে (১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারী) ঢাকার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মিথ্যা সিআর মামলা দায়ের করে। বর্তমানে সিকদার লিটনের চলাফেরা ও কথাবার্তায় আমার ধারণা হয় সে আমাকে বড়ধরণের ক্ষতি ও মানসম্মান নষ্ট করতে পারে। তাছাড়া মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানী করতে পারে। বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডায়েরি করা হলো বলে জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে প্রতারক সিকদার লিটনকে বুধবার দুপুরে ফরিদপুর শহর থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাকে আলফাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এই প্রতারকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলা থাকায় বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এছাড়া লিটনের বিরুদ্ধে ঢাকায় পৃথক দুটি মামলা রয়েছে। যার একটি হত্যা অন্যটি হত্যাচেষ্টার মামলা।