ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Розвага та виграші: як казино онлайн змінює гральну індустрію বাকেরগঞ্জে আহত পরিবারের মাঝে সরকারি অনুদান বিতরণ তৃণমূলের জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে আনসার ভিডিপির কর্মসূচি ‘প্রান্তিক শক্তি’ জাহাজ আত্মসাৎ ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন তিতাস গ্যাসে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে উত্তাল পরিবেশ শাহবাগের প্রহসনের আন্দোলন নিয়ে নাট্যনির্মাতা রানা বর্তমানের তীব্র ক্ষোভ রহমতগস্থ গণপূর্তে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঠিকাদার সমিতি চট্টগ্রাম জোনের মানববন্ধন নৌপথে পণ্য ও কোরবানীর পশু পরিবহনে জননিরাপত্তায় নির্বিঘ্ন করতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান মাদারীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডিবির হাতে গ্রেপ্তার, এলাকাবাসীর স্বস্তি মা পদক পেলেন মিসেস ফজলুতুননেছা

স্ত্রীকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নাটক স্বামীর

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩২০১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সুমন ভূঁইয়া ঢাকা: চাঁদপুরের মতলব উওর উপজেলার ১০ নং পূর্ব ফতেপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ ঠেটালিয়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির গৃহবধূকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নাটক করে স্বামী। সরজমির রিপোর্টে জানা যায় দক্ষিণ ঠেটালিয়া মরহুম সামছুলহক মোল্লার ছেলে মোঃ আব্দুল হাকিম মোল্লা (৩৮) বিগত ৫/৬ মাস পৃবে একই ইউনিয়নের ৫ মং ওয়াডের ডাকুর কান্দি গ্রাম ভূঁইয়া বাড়ির মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার এক মাএ কন্যা রুনা আক্তার(২১) এর সাথে বিয়ে হয়। গত কাল ৩১ মাচ ২০২৫ রোজ সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাবার আগে রুনার স্বামী মোঃ আব্দুল হাকিম মোল্লা স্ত্রী রুনাকে মেরে সিলিং ফেনের সাথে ঝুলিয়ে রাখে নামাজের উদ্দেশে রওনা দেন। নামাজ পড়ে এসে আবদুল হাকিম মোল্লা অভিনয় করে দেখেন ঘড়ের দরজা বন্ধ এতে করে আসে পাসের লোকের সাহায্য নেন এবং ঘরের ভেলকি ভেঙ্গে দেখেন রুনা সিলিং ফেনের সাথে ওরনা পেছিয়ে ঝুলে আছে। এ ঘটনা মানুষর ঢল নেমে আসে।এই সব কিছু ছিল রুনার স্বামীর সাজানো নাটক। কে বা কারা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন, খবর পেয়ে মতলব উওর থানা পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ মন্ডল ও এসআই দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে এসে লাসের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাস চাঁদপুর মগে প্রেরন করেন।এদিকে এলাকাবাসি এটাকে অস্বাবিক মৃত্যু করা হয়েছে বলে জানান। ফাঁস দেওয়ার যে আলামত থাকে তা কিন্তু একেবারে নজরে আসে নাই। ফাঁস দিলে মৃত ব্যাক্তির জিব্বা এবং সাদা লালা বের হবে কিন্তু পুলিশ এবং এলাকাবাসী এটা দেখতে পাননি। এবং রুনা যে টেবিলে দাঁড়িয়ে ফাঁস দিয়েছে সেটার হাইট এবং রুনার হাইট হিসেব করে সিলিং ফেনের উপরে রুনার হাইট চলে এবং রান্নাবান্না করার জন্য সব রেডি করছিলেন যার কারনে এলাকাবাসী এটাকে আত্মাহত্যা বলতে পারছে না এলাকাবাসী এবং রুনার বড় ভাই বলছে মেরে তারপর সিলিং ফেনের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে হত্যা না আত্মাহত্যা এটি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে। অপর দিকে মৃতের আও্বীয় স্বজন ও মৃতের বড় ভাই মো শরীফুল ইসলাম বলেন, আত্মাহত্যা নয় এটি একটি হত্যাকান্ড,তিনি জানান রুনার স্বামী হাকিম মোল্লা তার বোনকে মেরে ফেলে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখছে। তিনি হত্যা মামলা দায়ের করেছে আব্দুল হাকিম মোল্লা নামে।মৃতের স্বামী হাকিম মোল্লা পরে গাঢাকা দিয়েছে পলাতক।এটি নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা চলছে।হাকিম মোল্লা গাঢাকা দেওয়ার পর মানুষ বিশ্বাস করতে পারছে না এটি আত্মাহত্যা।তবে এলাকাবাসী এবং রুনার বড় ভাই যারা ছিল সবাই বলছে ১০ নং পূর্ব ফতেপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান আজমল চৌধুরী জরিত।আব্দুল হাকিম মোল্লা পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে চেয়ারম্যান আজমল চৌধুরী।তবে আইনের চোখে ফাকি দেওয়া সম্ভব নয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

Розвага та виграші: як казино онлайн змінює гральну індустрію

স্ত্রীকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নাটক স্বামীর

আপডেট সময় : ০১:৩৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

মোঃ সুমন ভূঁইয়া ঢাকা: চাঁদপুরের মতলব উওর উপজেলার ১০ নং পূর্ব ফতেপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ ঠেটালিয়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির গৃহবধূকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নাটক করে স্বামী। সরজমির রিপোর্টে জানা যায় দক্ষিণ ঠেটালিয়া মরহুম সামছুলহক মোল্লার ছেলে মোঃ আব্দুল হাকিম মোল্লা (৩৮) বিগত ৫/৬ মাস পৃবে একই ইউনিয়নের ৫ মং ওয়াডের ডাকুর কান্দি গ্রাম ভূঁইয়া বাড়ির মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার এক মাএ কন্যা রুনা আক্তার(২১) এর সাথে বিয়ে হয়। গত কাল ৩১ মাচ ২০২৫ রোজ সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাবার আগে রুনার স্বামী মোঃ আব্দুল হাকিম মোল্লা স্ত্রী রুনাকে মেরে সিলিং ফেনের সাথে ঝুলিয়ে রাখে নামাজের উদ্দেশে রওনা দেন। নামাজ পড়ে এসে আবদুল হাকিম মোল্লা অভিনয় করে দেখেন ঘড়ের দরজা বন্ধ এতে করে আসে পাসের লোকের সাহায্য নেন এবং ঘরের ভেলকি ভেঙ্গে দেখেন রুনা সিলিং ফেনের সাথে ওরনা পেছিয়ে ঝুলে আছে। এ ঘটনা মানুষর ঢল নেমে আসে।এই সব কিছু ছিল রুনার স্বামীর সাজানো নাটক। কে বা কারা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন, খবর পেয়ে মতলব উওর থানা পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ মন্ডল ও এসআই দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে এসে লাসের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাস চাঁদপুর মগে প্রেরন করেন।এদিকে এলাকাবাসি এটাকে অস্বাবিক মৃত্যু করা হয়েছে বলে জানান। ফাঁস দেওয়ার যে আলামত থাকে তা কিন্তু একেবারে নজরে আসে নাই। ফাঁস দিলে মৃত ব্যাক্তির জিব্বা এবং সাদা লালা বের হবে কিন্তু পুলিশ এবং এলাকাবাসী এটা দেখতে পাননি। এবং রুনা যে টেবিলে দাঁড়িয়ে ফাঁস দিয়েছে সেটার হাইট এবং রুনার হাইট হিসেব করে সিলিং ফেনের উপরে রুনার হাইট চলে এবং রান্নাবান্না করার জন্য সব রেডি করছিলেন যার কারনে এলাকাবাসী এটাকে আত্মাহত্যা বলতে পারছে না এলাকাবাসী এবং রুনার বড় ভাই বলছে মেরে তারপর সিলিং ফেনের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে হত্যা না আত্মাহত্যা এটি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে। অপর দিকে মৃতের আও্বীয় স্বজন ও মৃতের বড় ভাই মো শরীফুল ইসলাম বলেন, আত্মাহত্যা নয় এটি একটি হত্যাকান্ড,তিনি জানান রুনার স্বামী হাকিম মোল্লা তার বোনকে মেরে ফেলে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখছে। তিনি হত্যা মামলা দায়ের করেছে আব্দুল হাকিম মোল্লা নামে।মৃতের স্বামী হাকিম মোল্লা পরে গাঢাকা দিয়েছে পলাতক।এটি নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা চলছে।হাকিম মোল্লা গাঢাকা দেওয়ার পর মানুষ বিশ্বাস করতে পারছে না এটি আত্মাহত্যা।তবে এলাকাবাসী এবং রুনার বড় ভাই যারা ছিল সবাই বলছে ১০ নং পূর্ব ফতেপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান আজমল চৌধুরী জরিত।আব্দুল হাকিম মোল্লা পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে চেয়ারম্যান আজমল চৌধুরী।তবে আইনের চোখে ফাকি দেওয়া সম্ভব নয়।