নিজস্ব প্রতিবেদক :- বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দুর্নীতি চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে নিরলসভাবে পুলিশ সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন ওসি এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান তাঁর সেবা ও ব্যবহার সকলের হৃদয় জয় করেছে। সৎ, দক্ষ, মানবিক ও কোমল স্বভাবের এই পুলিশ কর্মকর্তা সন্ত্রাস- জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অপরাধ দমনে কঠোর হলেও অসহায় মানুষের কাছে তিনি মানবতার সেবক।
চিতলমারী থানায় অফিসার ইনচার্জে যোগদানের পরপরই অপরাধ দমনের কাজে সহযোগিতার লক্ষে সদর বাজার সিসি ক্যামেরার আওতায় আনেন , রাজনৈতিক, স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করে অপরাধ দমন ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
প্রশাসনের অফিসার ইনচার্জ হয়েও সব শ্রেণির মানুষকে আপন করে নেয়ার গুণ রয়েছে তাঁর মধ্যে। তিঁনি সকলের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন খোলা মনে। একজন সফল ওসি হিসেবে ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সহ বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলের সাধারন মানুষের যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিঁনি।
উপজেলার শুরশাইল গ্রামের রসো রায় বলেন ওসি স্যার থানায় যোগদানের পর থেকে চুরি-ডাকাতি কমে যাওয়ায় রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। তিনি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ। জানতাম না এতো মানবিক অনুভূতির পুলিশও আছে।
উপজেলার খিলিগাতি গ্রামের ভঞ্জন মন্ডল ও পিঁপড়ের ডাঙ্গা গ্রামের বিপ্র রায় বলেন, আমরা স্যারের আচরণ ও ব্যবহারে মুগ্ধ। স্যার অত্যন্ত ভাল মানুষ। আমরা তাঁর জন্য দোয়া করি।
উপজেলার খিলিগাতি গ্রামের দেবাশীষ মন্ডল বলেন, আগে আমাদের বিলের ঘেরে মাছ চুরি হতো র্বতমান ওসি স্যার যোগদানের পরে চুরি কমেছে। আমি মনে করি আমাদের সাধারণ মানুষের একজন অভিভাবক আছে যার কাছে সব কিছু বলা যায়।
থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওসি স্যারের অসংখ্য সৃজনশীল নির্দেশনা তৈরি করে অধীনস্থ অফিসারদের নিয়ে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে চিতলমারীবাসীর কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া সুপার হিরো আমাদের অভিভাবক এ, এইচ,এম , কামরুজ্জামান খান স্যার।
ওসি এ, এইচ,এম , কামরুজ্জামান খান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কোনো চাওয়া-পাওয়ার জন্য নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভালো লাগার জায়গা থেকে মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। মানবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোনো অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদা আমি সজাগ আছি।
একজন পুলিশের কাছে সেটাও সম্ভব একজন অপরাধীকে ঘৃণার দৃষ্টিতে না দেখে আইনের মাধ্যমে তাকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখে আলোর পথে নিয়ে আসা। আমরা চেষ্টা করতে পারি তাকে ভালো করার সুযোগ দেয়ার। আপনারা আমাদের সাহায্য করুন আমরা সত্যিই মানুষের স্বপ্নের পুলিশ হতে চাই।
তিনি আরও বলেন আইনের সেবক হয়ে জনতার সারিতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবো, প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথা গুলি বলতে পারবে। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন বাগেরহাটের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় নিজ কর্মস্থলে সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সহিত দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।