জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চন্দনাইশ প্রতিনিধি
৩০৩ বছরের প্রাচীন পবিত্র ইসলাম ধর্মের অন্যতম অনুপম মুসলিম নিদর্শন চট্টগ্রামের চন্দনাইশে হযরত মামুন খলিফা (রহঃ) শাহী জামে মসজিদ।
তৎকালিন সময়ে প্রায় ১৭২০ সালে ইসলাম প্রচারে সুদুর আবর দেশ থেকে হযরত মামুন খলিফা (রহঃ) নামে সুফি ধর্ম প্রচারক দ্বীনের সার্থে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরকল ইউনিয়নের মধ্যম কানাইমাদারী গ্রামে আসেন এবং বসবাসসহ এবং দ্বীনের দাওয়াতের কাজ শুরু করেন। লোকমুখে কথিত আছে ওই সময়ই তিনি ওইখানে সর্ব প্রথম একটি মাটির মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে এটি হযরত মামুন খলিফা (রহঃ)’র নামেই ওই শাহী জামে মসজিদটি ইসলামের এক অনুপম নিদর্শন হিসাবে দেশে সু-খ্যাতি ছড়িয়ে আসছে। লোকমুখে প্রচলিত হয়ে আসছে এক সময়ে ওই মসজিদটিকে গায়েবী মসজিদ হিসাবে দেখতেন পববর্তীতে ওই মসজিদের সু-খ্যাতি সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়ে দেশে দূর-দূরান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ ছুটে আসেন এবং মসজিদে নামাজ আদায় করে আত্মতৃপ্ত হন।
সে ধারাবাহিকতা প্রায় শত শত বছর ধরে চলে আসছে। এখনও প্রতিদিন দূরদূরান্ত হতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ ছুটে আসেন এ মসজিদে সালাত আদায় করতে। প্রতি শুক্রবার হলেতো কথাই নেই ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢলনামে। বর্তমানে মসজিদটি সু-নিপুন দৃষ্টিনন্দন ভাবে পাকা করে তৈরী করা হয়েছে। মসজিদে প্রবেশেরদ্বার দেখলেই মনজুড়িয়ে যায় বর্তমানে প্রায় ৫০ শতক জায়গার উপরে মামুন খলিফা (রহঃ) শাহী জামে মসজিদ ছাড়াও নতুন ভাবে মহিলাদের জন্য আলাদা ভাবে জামে মসজিদ তৈরী করা হয়েছে। এছাড়া হযরত মামুন খলিফা (রহঃ)’র নামে একই জায়গায় একটি হেফজখানা এতিমখানা ও নূরানী মাদরসাও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ও মসজিদের বর্তমাস মতোয়াল্লী মীর আহমেদ জানান,তারা বংশপরম্পরায় এই মসজিদের মতোয়াল্লীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ছাড়াও এ মসজিদের সুনাম সমগ্র দেশে রয়েছে। তিনি বলেন ঐতিহাসিক এই মসজিদে কেউ যদি নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন মহান আল্লাহ তায়ালা সেই মুসল্লির মনের আশা পুরণ হয় বলে তিনি জানান। সে কারণে শুরু থেকেই এ মসজিদটি সমগ্র দেশে এর সু-খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। মহান আল্লাহ পাক সবাইকে এ মসজিদটি দেখার তাওফিক দান করুন আমিন।